খায়রুন নাহা বহ্নি,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি ঃ এক সময় হাটবাজারে গিয়ে টুল বা চৌকিতে বসে চুল কাটানো হতো যা এখন এসি-ননএসি বড় বড় শপিং মহলগুলোতে চলে গেছে। একজন প্রতিদিন হাজার টাকা আয় করছেন অপরদিকে একই কাজ করে আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কথাগুলো বলছিলেন বীরগঞ্জ পৌরসভার দৈনিক কাঁচা বাজারের দুলাল চন্দ্র শীল ।
জানা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ফুটপাতে চুল-দাড়ি কেটে সংসার চালাতেন কয়েক শত শীল (নাপিত) সম্প্রদায়ের মানুষ। এখন আর তেমন কেউ নতুন করে এ পেশায় আসছে না বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ। বেছে নিচ্ছে ভিন্ন পেশা। যাদের অর্থবিত্ত আছে তারা চুলকাটা থেকে প্রয়োজনীয় কাজ গুলো সারিয়ে নেন আধুনিকতায় ছোয়ায় গড়ে উঠা বড় বড় সেলুনগুলোতে।
বীরগঞ্জ হাটখোলা বাজারে কর্মরত জতীন চন্দ্র শীল বলেন, আমি প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে চুল ও দাড়ি কাটে যা উপর্জন হয় তাই দিয়েই সংসার চলায় কোনো রকমে বয়সের ভারে একাজ করতে কস্ট হয় এখন।
বীরগঞ্জের স্লুইজ গেট এলাকারব স্বাধীন বলেন, বর্তমান বাজারের দ্রবের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে চলতে পারছিনা। ১৫০ থেকে ২০০ টাকার কাজ করে নূন আনতে পান্থা ফুরায় অবস্থা। বয়সের শেষ সময়ে চলে এসেছি অন্য কোন কাজও করতে পারিনা। তাই বাধ্য হয়ে হাটে-বাজারে ঘুরতে থাকি চুল ও দাড়ি কাটার জন্য।
বাহাদুর বাজারের সুধীর চন্দ্র শীল বলেন, ৪৭ বছর আগে থেকে দুই আনায় চুলকাটা শুরু করেছিলাম এখন ২০ টাকা করে চুল কাটছি।
Real time news update
More Stories
মিঠাপুকুরে গৃহবধূ আইরিন হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহনের পরই কোটচাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাচ্ছেন দির্ঘদিনের বকেয়া বেতন
হরিণাকুন্ডুর কাপাশাটিয়া বাউড়ে দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে তিন লক্ষ টাকার মাছ নিধন