কাজী লুমুম্বা লুমুঃ শহীদ আমির উদ্দিন ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং বড়দরগাহ্ ইউনিয়নের ছোটো মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর বাবার নাম আব্দুল শেখ ও মা ইয়াতন নেছা।আমির লেখাপড়া করেন নাই।তিনি ছোটোবেলায় বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ শুরু করেন।অল্প বয়সে আমির বিয়ে করেন এবং তিন সন্তানের বাবাও হন।১৯৭১-এর ডিসেম্বর মাস।মুক্তিযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বড়দরগাহ’র ছোটো মির্জাপুর গ্রামের ‘সরকারি কীটনাশক ঔষধ বিতরণ কেন্দ্রে’ পাকবাহিনি অস্ত্রাগার স্থাপন করে শক্ত অবস্থান নেয়।অাশেপাশের গ্রামগুলো তখন প্রায় জনশূণ্য।আমির তাঁর পরিবারের লোকজনসহ আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী শানেরহাট ইউনিয়নের দামোদরপুর গ্রামে আত্নীয়ের বাড়িতে।এ পরস্থিতিতে আমিরের বাবা আব্দুল শেখ বাড়িতেই ছিলেন।১২ ডিসেম্বর বিকালে আমির তাঁর শ্বশুরবাড়ি সাহাপাড়া হাজীপুর থেকে বাবার জন্য ভাত-তরকারি নিয়ে বাড়িতে আসেন।সেদিন সন্ধ্যার পর নিজবাড়ি ছোটো মির্জাপুর থেকে সাহাপাড়া হাজিপুরে ফেরার পথে বড়দরগাহ্ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তরে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পূর্বদিকে পাকবাহিনি তাকে গুলি করে হত্যা করে।আমিরের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোন সন্ধান পায়না।চারদিকে যুদ্ধ কেউ বাড়ি থেকে বেরও হতে পারেনা।এভাবে চারদিন অতিবাহিত হয়।১৭ ডিসেম্বর আমিরের পরিবারের লোকজন সাহাপাড়া হাজিপুরে আসে। সেদিন বেলা ১১ টার দিকে আমিরের আট বছর বয়সের ছেলে শহিদুল ইসলাম মামাতো ভাই আব্দুর রউফের সঙ্গে সাহাপাড়া হাজীপুর থেকে নিজবাড়ি ছোটো মির্জাপুরে আসছিলেন।পথিমধ্যে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক থেকে আনুমানিক ২০ হাত দূরে ধানের জমিতে তাঁর বাবার লাশ ও কিছু দূরে বিচ্ছিন্ন বাম পা পড়ে থাকতে দেখেন।তারা দ্রুত বাড়ি গিয়ে দাদা আব্দুল শেখকে সংবাদ দেয়। পরে আমিরের স্বজনরা তাঁর লাশ সাহাপাড়া হাজীপুরে শ্বশুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।বিনম্র শ্রদ্ধা।
Real time news update
More Stories
মহেশপুরে ট্রাক্টরের সঙ্গে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় ৩৪৫ জন আটক
ঝিনাইদহে টিসিবির পন্য কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের দীর্ঘ লাইন