সারাদেশ

ফুলবাড়ীতে পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক দ্বারা তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের সুতলি ও রশি॥

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা এলাকার চাঁদপাড়া গ্রামে গ্রামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা পরিত্যাক্ত প্লাষ্টিক দ্বারা তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের সুতলি ও রশি।ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর সুজাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মো. আনিছুর রহমান প্রধান মন্ত্রীর বিনিয়োগ উন্নয়ন দপ্তর এর আয়োজনে উদ্দ্যেক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা প্রকল্প (ইএসডিডি) দিনাজপুর এ প্রশিক্ষণ নিয়ে ফুলবাড়ীতে ছোট আকারে একটি প্লাষ্টিক কারখানা তৈরি করেন। এখানে দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরি করেন উন্নতমানের সুতলি ও রশি। এই কারখানায় প্রায় ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা কাজ করছেন।
প্রত্যেকের কাজ ভিন্ন ভিন্ন। বিভিন্ন প্লাষ্টিক বাছাই করে তা মেশিনে কেটে ঝুরি করা হচ্ছে তারপর পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে মেশিনে ফেলানোর পর বের হচ্ছে উন্নত মানের সুতলি ও রশি। তাসিন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী মো. আনিছুর রহমান জানান, প্রশিক্ষণ নেয়ার পর অর্থের যোগান না থাকায় অনেক কষ্টে আমি ফুলবাড়ীর চাঁদপাড়া গ্রামে ৩৩ শতক জায়গায় ক্রয় করে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করি। তিনি আরও জানান, কাঁচামাল বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। তার পর বাছাইকরে প্লাষ্টিকের মান নির্ণয় করা হয়। এতে করে পরিবেশ বিপন্ন থেকে দেশ রক্ষা পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এইরুপ ক্ষুদ্র শিল্প উদ্দ্যোক্তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগীতা প্রদান করলে আমার মত বেকারেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। দেশের আনাচে কানাচে প্লাষ্টিক আর পড়ে থাকছেনা। এখন সবগুলোই কাজে লাগছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় তার চাঁদপাড়া গ্রামের প্লাষ্টিক কারখানায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কিভাবে এই প্লাষ্টিক থেকে সুতলি ও রশি তৈরি হচ্ছে। নিখুদভাবে দক্ষ কারিগর এবং শ্রমিকেরা প্লাষ্টিক থেকে সুতা তৈরির কাজ করছেন। এই কারখানায় উৎপাদিত প্লাস্টিকের তৈরি সুতলী ও রশি বর্তমান দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছেন। ভবিষ্যতে সরকারিভাবে ঋণ দেওয়া হলে তাসিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ আনিছুর রহমান উন্নতমানের মেশিন স্থাপন করে আরও উন্নতমানের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এইজন্য সরকারের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন।  

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments