অবৈধ উপায়ে ডায়াগনস্টিক পরিচালনার দায়ে পাকেরহাটে এক জনকে ১ মাসের জেল ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা শেষ করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাতেখড়ি। এরপরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাকেরহাটে সিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে মালিক হিসেবে চালু করেন ডায়াগনস্টিক কিন্তু যিনি মালিক তিনিই কোন প্রশিক্ষণ কিংবা পড়াশোনা ছাড়াই ভুয়া টেকনিশিয়ান হিসেবে করেন বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরিক্ষা, এক্সরে। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে জেলে গেলেন এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
মঙ্গলবার (৭জুন) দুপুরে উপজেলার পাকেরহাটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উঠে আসে এচিত্র।
এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. হাসানুর রহমান চৌধুরী, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রিজওয়ানুল কবির, মেডিকেল অফিসার (ইউনানী) মোস্তাসিম তাহমিদ, থানা পুলিশের এসআই গৌতম সাহা প্রমূখ।
দিনব্যাপী চলা এই অভিযানে অবৈধ ভাবে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করায় সিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে এক মাস জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কাগজপত্রে গড়মিল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা থাকায় প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা, আধুনিক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, পাকেরহাট ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা ও হলি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য,সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকা মমতাজ ক্লিনিক লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার পাশাপাশি পূর্ববর্তী অভিযোগসমূহের নিষ্পত্তি করায় সাময়িক বন্ধের আদেশ উঠিয়ে দেওয়া হয়।
Comments