সারাদেশ

খানসামায় কৃষকদের জনপ্রিয় নেটের চাতাল

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা। এই উপজেলার কৃষকরা এখন বাড়ির উঠোন, পরিত্যাক্ত জমি, খেলার মাঠ, কাঁচা-পাকা রাস্তা এবং নদীর চরে নেট চাতাল তৈরি করে শস্য শুকিয়ে ঘরে তুলছেন। এতে তাদের চাতাল সংকট দূর হয়েছে, সেই সংগে সাশ্রয়ও হচ্ছে।
গ্রামের এসব কৃষক এক সময় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান, ভুট্টা, পাকা মরিচ, চীনা বাদামসহ বিভিন্ন শস্য ঘরে তোলার পর পাকা রাস্তা, উঁচু জমি কিংবা কোন মিলের চাতালে মাটির চাতাল বানিয়ে শুকাতেন। কিন্তু এটি এখন কষ্টসাধ্য, ব্যয়বহুল ও দুষপ্রাপ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলায় এখন বছর জুড়ে নানা জাতের খাদ্যশস্য ব্যাপক হারে উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে চাতাল সংকট দিনকে দিন বাড়ছে। আর বছরের একটা সময় হঠাৎ বৃষ্টিতে মাটির চাতালে রাখা শস্য দানা ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। অপরদিকে রাস্তায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই রাস্তায় শস্য শুকানো নিষিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় যে ক’টি পাকা চাতাল রয়েছে সেগুলো ব্যবসায়ী আর বিত্তবান কৃষকরা দখল করে আছেন। তাই গরিব কৃষকরা সব ছেড়ে প্লাস্টিকের নেট চাতালের দিকে ঝুঁকেছেন। খরচ কম হওযায় এই চাতাল দ্রুত জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে খানসামা উপজেলার হাসিমপুর ও দুবলিয়া গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীতে জলের কিনার ঘেঁষে ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত আজিজার রহমান, আব্দুর রহমান ও বাবলু রহমানের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, আশপাশে কোন খালি মাঠ নেই, তাই যত্রতত্র চাতাল করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে নদীর চরে খড় বিছিয়ে তার ওপর নেট দিয়ে চাতাল বানানো হচ্ছে।
পার্শ¦বর্তী দুটো চরে নেট বিছিয়ে কিষাণী মহছেনা বেগমকে ভুট্টা এবং মেহেরজান বেগম, রাজিয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, মরিয়ম বেগম ও রেজিনা বেগমকে ধান শুকাতে দেখা যায়। তারা বলেন, চাতাল অনেক দূর। তাছাড়া চাতালে ধান নিয়ে গেলে অনেক খরচ হয়। আমরা গরিব মানুষ। তাই ৮৫০ টাকা পেটি দরে পরিমাণ মত নেট কিনে ধান, ভুট্টা ও পাকা মরিচ শুকাই। আর এই নেট সহজে নষ্ট হয় না।
একজন চাতাল মালিক জনান, এক সাথে ভুট্টা, ধানসহ অন্যান্য ফসল তোলা শুরু হওয়ায় চাতালগুলোতে ভীড় লেগে থাকে। আর কোন কোন চাতালে ব্যবসায়ীরা চুক্তিতে সারা বছর ধরে শস্য শুকায়।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments