সারাদেশ

ঝিনাইদহের হলিধানী শাখা কৃষি ব্যাংকের তেলেসমাতী কান্ডে ব্যাংক পাড়ায় তোলপাড়!

ঝিনাইদহ-
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর খেলাপী ঋণ পরিশোধ দেখিয়েছে ঝিনাইদহের হলিধানী শাখা কৃষি ব্যাংক। পরিশোধ দেখিয়ে সেই নোটিশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে প্রমানিত হলো নোটিশটি ভুয়া ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় ভুয়া কাগজপত্রের বিনিময়ে হলিধানী কৃষি ব্যাংকের ঋন জালিয়োতি নিয়ে খবর প্রকাশ হয়ে আসছে। এতে ব্যাংক পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়। ব্যংক কর্মকর্তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য ছুটোছুটি করতে থাকেন। সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাংকের লোকজন নোটিশ যাওয়া শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। শফিকুল ইসলামের দাবি তিনি এই ব্যাংক থেকে কোন ঋণ নেননি, তার কাগজপত্র দিয়ে কোন ভুয়া ব্যক্তিকে ঋণ দিয়েছে। এর আগে ব্যাংকে গিয়ে এই তথ্যের সত্যতা মেলে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ২০১৫ সালে শফিকুলের ভোটার আইডি ব্যবহার করে তার ভাই তরিকুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা ঋন নেয়। অথচ ব্যাংক শফিকুল ইসলামের নামে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ঋন আদায়ের নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পেয়ে ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার দশা হয় শফিকুল ইসলামের। শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ব্যাংক আসল ঘটনা উদ্ঘ্টন করে শফিকুলের ভাই তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করে। এ খবর দিয়েছেন হলিধানী কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হাসমত আলী। তিনি বলেছেন, এই ঋন নিয়ে সে সময় জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই বাছাই করার প্রযুক্তি ছিল না। ব্যবস্থাপক হাসমত আলী জানান, খবর প্রকাশের পর এই ঋণ আমরা আদায় করে ফেলেছি। শফিকুলের নামে আর কোন মামলা হবে না। একদিনের মধ্যেই কিভাবে আদায় করে ফেললেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঋণ নিয়েছিল শফিকুলের ভাই তরিকুল। সেই তার ভায়ের কাগজপত্র দিয়েছিল। জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুলটিয়া গ্রামের মওলার ছবি কেন এমন প্রশ্লের জবাবে তিনি বলেন এই প্রশ্নের উত্তর তৎকালীন আইও দিতে পারবে। ভাটই বাজার শাখা কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে হলিধানী কৃষি ব্যাংক বলতে পারবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments