মুক্তমত

শুদ্ধ আওয়ামী লীগ চাই- হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ চাই

।। মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমা ।।
সবাই এখন আওয়ামী লীগ হতে চায়, সত্যি বলতে কি বাহ্যিক রুপে সবাই এখন আওয়ামী লীগ।১৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছিল ১% ১/১১ পর ৩% আর এখন মনে হচ্ছে ৯৯.৯৯।কে আওয়ামী লীগ তা নিয়ে এখন রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে । সম্প্রতি হাইব্রিড ও অতি আওয়ামী লীগারদের উৎপাত বেড়েই চলছে । বছর কয়েক আগেও রাজনৈতিক সংকটের সময় এদের দেখা যায়নি। বিগত নির্বাচনের আগেও তারা উধাও হয়ে গিয়েছিলেন । তখন সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক তৎপরতা এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অতি আওয়ামী লীগারদের কোনো তৎপরতা ছিল না । বর্তমানে সরকারকে সুবিধাজনক অবস্থানে দেখে মাঠে নেমে পড়েছেন অতি আওয়ামী লীগাররা । এদের কারণে বিভিন্ন পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে নিজেদের আওয়ামী লীগ সাজিয়ে বিভিন্ন নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে হাইব্রিডরা অবৈধ ভাবে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য বাগিয়ে নিচ্ছেন । জড়িয়ে পড়ছেন টেন্ডার বাণিজ্যেও । সম্প্রতি মিডিয়ার কল্যাণে দেখা যাচ্ছে , হাইব্রিড ও নব্য অতি আওয়ামী লীগাররা গ্রুপ বেঁধে তৎপরতা চালাচ্ছেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতা ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা । অনেক জাতীয় ব্যক্তিত্বকেও তারা অকারণে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিপক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন । এদের মদদদাতা হিসেবে বেরিয়ে আসছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম। বুঝে না বুঝে তারা যে সংকট তৈরি করছেন দীর্ঘমেয়াদে তা কোনদিকে মোড় নেবে তা নিয়ে সংশয় আছে বিভিন্ন মহলে । এদের অনেকেই নানা ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠন তৈরি করে দলের ভিতরে-বাইরে সমস্যা সৃষ্টি করছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের নেপথ্যে কাজ করছেন সুবিধাভোগী একশ্রেণির হাইব্রিড আওয়ামী লীগার । কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের এখন জয়জয়কার । দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, সাংগঠনিক কর্মসূচিতে হাইব্রিড নেতারা বরাবরই অনুপস্থিত । কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়ানো যেন হাইব্রিড নেতাদের প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । দল ও সরকারে কর্মীবিচ্ছিন্ন হাইব্রিডরা ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে । অভিযোগ রয়েছে, হঠাৎ দলে নেতা হওয়া হাইব্রিডদের রাজনৈতিক তৎপরতা না থাকলেও নিজেদের বিত্ত-বৈভব বাড়াতে পদ-পদবিকে তারা কাজে লাগাচ্ছেন । সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই হাইব্রিডদের দেখা যায় নানা কিসিমের তদবির বাণিজ্যে। হাইব্রিড, সুবিধাভোগী আর নব্য আওয়ামী লীগারদের ভিড়ে তৃণমূলের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত নেতারা অনেকটাই কোণঠাসা। দলের দীর্ঘ পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা হাইব্রিডদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান । কে আওয়ামী লীগ তা নিয়ে এখন রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। বর্তমান ও সাবেক আমলা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী,সাংবাদিক,খেলোয়াড় কিংবা প্রকৌশলী কোন শ্রেনী পেশা বাদ নাই, সবাই এখন নিজেদের গায়ে আওয়ামী লীগের ‘তকমা’ লাগাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। দেখা গেছে ১৫ আগষ্ট,১৯৯৬, ওয়ান-ইলেভেনসহ দলের দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করেছেন, তাদের অনেককেই এখন সুবিধা লুটতে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন । প্রকৃত আওয়ামী লীগাররা এদের নাম দিয়েছেন ‘হাইব্রিড’। তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা নিবেদিতপ্রাণ বলে পরিচিত ছিলেন, দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন, দল ক্ষমতায় থাকার পরও তাদের অনেকের এখন দুর্দিন চলছে । সুযোগসন্ধানী ‘কাউয়া’ ও ‘হাইব্রিড’ মার্কা নেতাদের দাপটে এরা কোণঠাসা । ত্যাগীদের প্রতি সংশ্লিষ্ট অনেক এলাকার এমপি-মন্ত্রীরাও মুখ ফিরিয়ে রাখেন। তাদের কাছে ভিড়তে দেন না। তাদের ঘিরে রাখেন নব্য সুযোগসন্ধানী নেতারা। এতে দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত নেতারা ত্যাগের বিনিময়ে পাচ্ছেন বঞ্চনা-লাঞ্ছনা। অথচ নব্য আওয়ামী লীগরাই এখন লুটেপুটে খাচ্ছে । পাপিয়া সাবরিনা- আরিফ, রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ, আর ওসি প্রদীপকে নিয়ে যখন দেশে আলোচনা সমালচনা ঝড় উঠেছিল । অথচ এদের দলের জন্য পূর্বে কোন ত্যাগ তিতিক্ষার ইতিহাস নেই । অথচ ঠিকই তারা তাদের জায়গা করে নিয়ে অন্যায় ভাবে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অডেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে । ওসি প্রদীপের অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা বানানোরও হদিস মিলছে । পাপিয়াদের মত, শাহেদদের মত লোকের অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার হদিস মিলছে। এইরকম অজস্র নব্য আওয়ামীলীগ আছে যারা দলের জন্য কোন অবদান না রেখে নিজেদেরকে এখন অনেক বড় ত্যাগী আওয়ামীলীগ দাবী করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় তৈরি করছে । দুঃসময়ে যারা আন্দোলন, সংগ্রামে, শ্লোগানে, মিছিলে রাজপথ কাঁপিয়েছিল, তাদের অনেকের অবস্থাই ভয়াবহ করুণ । ক্ষমতার সরকারে দুঃসময়ের নির্যাতিত অনেক নেত্রী বা কর্মীর জায়গা হয়নি । বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে নেতা নেত্রীরা নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত যে দুঃসময়ের সহযাত্রীদের খবর রাখার এতো সময় এখন তাঁদের নেই । ক’দিন আগে শুনলাম যুব মহিলালীগের ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ঝুমা প্রচ- অর্থকষ্টে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে । যুবলীগ নেত্রী আয়েশা মানবেতর জীবন যাপন করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। পযাপ্ত চিকিৎসা পায়নি । অথচ তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশের হিংস্রতার শিকার হয়ে রাজপথে লাঞ্ছিত হয়েছিলো এই আয়শা। বার বার পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন আয়শা। তবুও রাজপথ থেকে মোটেও সরাতে পারেনি পুলিশ এই নারী কর্মীকে। সেই আয়শার পাশে দাঁড়ানোরও কেউ ছিলো না। সেই সময়ে এক হরতালে পুলিশ কর্তৃক আয়শার বস্ত্র হরণের ছবি সবার হৃদয়কে আপ্লুত করে বেদনা জাগিয়েছিল। মানুষকে জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী করেছিল। সুসময়ের কোকিলরা নয় দুঃসময়ের এই আয়শারাই আপনাদের আপন । আজ আয়শার দুঃসময়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে পারেনি কেউ। কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। না ফেরার দেশে চলে গেছেন আ.লীগের দুঃসময়ের সেই সাহসী নেত্রী ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুব মহিলা লীগের আয়শা ! আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকলেও ভাগ্য বদলেনি এসকল নির্যাতিত কর্মীদের । কারণ তারা অর্থকে নয় দলকে ভালোবাসতেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় আয়েশারা তাদের ভাগ্য বদলাতে না পারলেও বিশাল পরিবর্তন আর পদ-পদবীতে ভুষিত হয়েছেন নব্য অতিথিরা । নবাগতরা দলে প্রবেশের পরেই রাতারাতি অল্প সময়ে মধ্যে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন, সেই সাথে বনে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ । কিন্তু অর্থ না থাকায় চিকিৎসার অভাবে এভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে লাল সবুজের বাংলাদেশকে শেষ বারের মতো চিরদিনের জন্য বিদায় জানালেন আয়শা বেগম । তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে তখন আলোচনার তুমুল ঝড়। না খেয়ে দিন যাপন, চিকিৎসার অভাবে এমন করুণ মৃত্যু এখন প্রশ্ন জেগেছে সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে । কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, 'জিকে শামীম, ওসি প্রদীপ, পাপিয়া, সাহেদ করীমসহ অসংখ্য হাইব্রিডরা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন আর সামান্য চিকিৎসার জন্য এভাবে মরতে হয়েছে একজন দলের ত্যাগী কর্মীর? রাজনীতি এখন সমাজের কাছে বড় প্রশ্নবিদ্ধ ! একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছিলেন, আয়শা আপার এলাকার জনপ্রতিনিধিরা তাকে একটু দেখতেও গেল না! এবং দুই টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো যোগ্যতা কি ছিল না! সবাই তো নানা কর্মে ব্যস্ত, শুধু মাটিতে পড়ে আছে আজ লাশ যারা দলকে ক্ষমতায় এনেছিল ! মৃতকালে পরিবারের কাছে আয়শার শেষ কথা, দল ক্ষমতায় কিছুই করিনি। এমনকি কেউ একটু দেখতেও আসেনি। অনাহারে দিন যাপন করেছি। অনেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন আর আমরা জীবন দিয়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসছি বিধায় চুরি বাটপারি করিনি। সততার সাথে রাজনীতি করেছি। রাজনীতি আজ তুমি বড়ই নিষ্ঠুর! ওরা ভাল থাকুক আমরা অপরাধী তাই একদিন চলে যাবো সৃষ্টিকর্তার ডাকে! প্রিয় দেশবাসী আমরা রাজনীতি করেছি মানুষের জন্য, সবার কাছে অনুরোধ থাকবে আমার মৃত্যু হলে একটু সন্তানদেরকে কেউ ভালোবেসে পড়া লেখা করিয়ে মানুষ করবেন । এইটুকু জাতির কাছে রেখে গেলাম, আমার মতো ওদের যেন মৃত্যু না হয়, আমার সন্তান একবেলা ভাত আর একটু মানুষ হলে আত্মায় শান্তি পাবো । পাপিয়াদের মতো নষ্টদের জন্য সবার সহযোগিতা শেল্টার জুটলেও আয়েশাদের মতো এই ত্যাগিদের ভাগ্যে খাবার ও চিকিৎসা জুটেনা, অনাহারে মৃত্যুবরণ করে তারা। আয়েশার খবর রাখার সুযোগ দলের নেতা, মন্ত্রী এমপিদের নেই! রাজনীতি কতো নিষ্ঠুর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ যেমন পাপিয়াদের অপরাধের কথা বলেননা, তেমনি আয়েশার জীবনের করুন অবস্থার বেদনার কাহিনীও জানান না। দেশের যেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় দেখেছেন সেখানেই ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনা কালে যেখানেই বেশি সমস্যা দেখছেন সেখানেই সহযোগিতা করছেন। করোনা যুদ্ধে একা নেতৃত্ব দিয়েছেন । কেন ভাই সবকিছু কেউ কেন আজ এই একজনকেই দেখতে হবে? আপনাদের ভাগ কমে যাবে বলে আজ দেশের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ লক্ষ আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতারা হারিয়ে যাচ্ছে। দুঃসময়ে যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ কাঁপিয়েছিল, তাদের অনেকের অবস্থাই ভয়াবহ করুণ। ক্ষমতার সরকারে দুঃসময়ের নির্যাতিত অনেক নেত্রী বা কর্মীর জায়গা হয়নি। এবার একটু সাংবাদিক কাজলের কথায় আসি। সাংবাদিক কাজল এমন এক ব্যক্তি যিনি ৯০ এর গণঅভূত্থান, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে করা গণআদালত-এ তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া ওয়ান ইলেভেনে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্লভ সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। অথচ সেই সাংবাদিক কাজলকে হাত পেছনে দিয়ে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আর সাবরিনা, ওসি প্রদীপদের মত মাফিয়াদের এমন ভাবে গ্রেফতার করা হয় যেন মন্ত্রীর প্রটোগল দিচ্ছে । আজকের ত্যাগি নামধারী নেতা হচ্ছে হাইব্রিডরা। কারণ ক্ষমতায় থাকতে তাদের কোন মিছিল মিটিং হরতালের প্রয়োজন নেই, জেল জুলুম আর নিপীড়নের ভয় নেই। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর নিশ্চয়তায় সেজে গুঁজে এসি রুমে বসে কেবলই বুলি কপচানো, আনন্দ আর ধান্দা, বড় বড় পদ পদবী সহ নিজেদের আখের গোছানো। আজ তাদের সম্পদেরও হিসেব করে বের করা সম্ভব হয়ে উঠেনা । ক্ষমতার সরকারে রূপ লাবণ্য আর গ্লেমারের যতটা কদর শান্ত আলুথালু মলিন চেহারাগুলো ততোটাই বিরক্তিকর, অপাংক্তেয় আর বেমানান । এই দেশে পাপিয়ারা বড় বড় পদ পায় আর আয়েশাদের মত ত্যাগী নেত্রীরা ওষুধ খেতে পারেনা অর্থের অভাবে মারা যায়। এদেশে আইব্রিডরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের পদ কিনে , নমিনেশন কিনে। আর ত্যাগিরা, প্রকৃত আওয়ামী লীগ কর্মীরা অর্থের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। তাইতো অনেক ভালো জায়গায় । জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানো হচ্ছে দলের সব জায়গায় কমিটি আছে , অনেক সুসংগঠিত কিন্তু ভেতরে সব অনুপ্রবেশকারী । যার কারনে দিন দিন ত্যাগিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । আল্লাহ না করুক যদি এখন দলের কোন দুঃসময় নেমে আসে এদের খুঁজে পাওয়া মুসকিল হয়ে যাবে,কারন এরা তো প্রকৃত দলের কর্মীনা,তারা তো অনুপ্রবেশকারী । অথচ ত্যাগিরা কোন সার্থ ছাড়াই রাজনীতি করেছে। দলের দুঃসময়েও জীবন বাজি রেখে তারা দলকে রক্ষা করেছে। যুগে যুগে ত্যাগিদের মূল্যয়ন হয়েছে বিধায় আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামে টিকে ছিলো। তাই দলকে শক্তিশালী করার জন্য আবারও ত্যাগিদের প্রয়োজন । জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের ইতিহাস না জেনে অনেকে করছে ভাই লীগ । এখন তো এমন অবস্থা হয়েছে আওয়ামী লীগের দুঃসময় আসলে তাদের ভাইও পালাবে ভাইয়ের কর্মীরা পালাবে। কিন্তু ঠিকই মাঠে থাকবে ত্যাগীরা। আওয়ামী লীগকে এখন বাঁচাতে হলে ত্যাগিদের বাঁচাতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের লোকদের কমিটিতে আনতে হবে, আওয়ামী পরিবারের লোকদের কমিটিতে আনতে হবে। মেধাবীদের মূল্যয়ন করতে হবে।কমিটিতে পদ দেবার আগে,তার বাবা কোন দল করতো,মুক্তিযোদ্ধা কিনা,সে দলের জন্য ত্যাগি কিনা,এইসব দেখা উচিত । আওয়ামী লীগের সভাপতি,সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কাছে ত্যাগিদের অনুরোধ এখন সব কিছু দেখতে হবে আপনাকে । ত্যাগিদের যত রাগ, অভিমান, চাওয়া,পাওয়া সব আপনাকে ঘিরে । কারণ ত্যাগিরা কোন টাকা পয়সা চায় না। তারা শুধু একটু সম্মান চায় । দুঃসময়ের কর্মী ত্যাগিদের মূল্যয়ন না করা হয় তাহলে ভালো থাকবে হাইব্রিটরা, মরে যাবে ত্যাগিরা।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments