September 16, 2024
রাজনীতি

তুরাগের রাজনীতির বটবৃক্ষ : বীর-মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কী অভিধায় ভূষিত করা যায় তাঁকে? কোন বিশেষণ তাঁর বিশালত্ব ধারণ করতে পারে? রাজনীতির বরপুত্র নাকি রাজনীতির সিংহপুরুষ? গণমানুষের নেতা নাকি রাজনীতির ভূমিপুত্র? কোনোটাই যেন যুতসই হয় না । কেমন যেন অপূর্ণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আসলে এ রকম বিশেষণযুক্ত শব্দ চয়ন করে তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ সম্ভব নয়। কারণ তিনি তুরাগের রাজনীতির এক বটবৃক্ষ। যাঁর বিশাল ছায়ায় সবাই একত্রিত । তাঁর সান্নিধ্য পেতে অনেকেই আসেন সময়ে-অসময়ে, দুর্যোগে-সংকটে । তাই ব্যক্তি রাজনীতিক থেকে তিনি পরিণত হয়েছেন এক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে । সমুদ্রের মতো বিশাল তাঁর কর্মপরিধি। হাত বাড়ালেই যেমন আকাশ ছোঁয়া যায় না, তেমনি তাঁর সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে অনেক কিছুই বলা হয়নি । তিনি এ মাটিরই সন্তান । ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৩নং ওয়ার্ডের ২বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর জননেতা বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন । তুরাগ বাসীর কাছে বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন একটি নাম, একটি ইতিহাস । মানুষের কাছে যিনি আপন আলোয় উদ্ভাসিত। এক ত্রিকালদর্শী রাজনীতিবিদ । পাকিস্তান আমলেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি এবং তুখোড় একজন রাজনীতিবিদ । স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সঙ্গে ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এই মানুষটি তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞায় তুরাগের রাজনীতির এক মহীরুহে পরিণত হয়েছেন । বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন এক ত্রিকালদর্শী রাজনীতিবিদ । বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন প্রায় ছয় দশক সময় ধরে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় রয়েছেন । ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামেও তাঁর অবদান নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল । এছাড়াও প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ । তিনি ছাত্র অবস্থাতেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । ১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন স্থানীয় আওয়ামী- ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং এরশাদের পতন ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন । তিনি প্রকৃতার্থে রাজনীতির এক শুদ্ধ পুরুষ । ছাত্র জীবনেই প্রগতিশীল রাজনীতির পাঠ নেন, আজীবন সংগ্রামী, আপাদমস্তক জননেতা বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন এক অমলিন আদর্শ । রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে ধ্যান জ্ঞান করে তাঁর চারপাশকে করেছেন আলোকিত। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানবতার কল্যাণে । তার এলাকার অলি,গলিকে কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করে হয়ে উঠেন সর্বজনীন জননেতায় । মুক্তিসংগ্রামে যেমন নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন তেমনি এলাকার উন্নয়ন, অগ্রগতিতে রেখে যাচ্ছেন অসামান্য ভূমিকা। দলঅন্তপ্রাণ এই মানুষটি আওয়ামীলীগের দুর্দিনের প্রতিনিধি, সুদিনের পরামর্শক। কর্মী গড়ার কারিগর এই মহৎ মানুষটির কাছে রাজনীতি হচ্ছে আরাধনা, বিশাল হৃদয়ের এই ক্ষণজন্মা মানুষটি এলাকার অনেক কর্মীকে নেতায় রূপান্তরিত করেছেন । উপযুক্ত কর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এগিয়ে দিচ্ছেন জনসেবায় । এমন আদর্শিক অভিভাবক সত্যিই বিরল । সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা আর দায়বদ্ধতার অভিনব মিশেল রাজনীতিতে এখন খুঁজে পাওয়া যায় না । আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘর, বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন একজন কর্মীবান্ধব নেতা, জনবান্ধব অভিভাবক ও পরিশীলিত জনসেবক । স্বাধীনতার পর থেকেই এলাকার একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ । কিন্তু কখনো প্রভাব প্রতিপত্তি আর অনৈতিক সুবিধার জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করেননি । দলকে কলুষিত করেননি । কলুষতামুক্ত একজন নির্ভেজাল আওয়ামী লীগার তিনি। তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা, জনপ্রিয়তা আর দূরদর্শিতায় তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন স্বীকৃতি । এদিকে আসন্ন তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন, এলাকার তৃণমুলের সকল আওয়ামী- ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা । সাধারণ জনগনের ভাগ্য পরিবর্তন, আওয়ামীলীগকে সাংগঠনিক ভাবে সেরা সংগঠনে পরিণত করা ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রাণপণ সহযোগিতা করে যুগান্তরকারী মাইলফলকই নয় সেরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান ও ত্যাগী নেতা বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিন । তার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য তৃণমুলের সকল আওয়ামী- ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবী সংগঠনকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনকে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় । এটা দলীয় নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবী । কেননা এ দাবী বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনের নয় দল ও দলীয় নেতাকর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় তৃণমুল কর্মীদের প্রাণের দাবী । এলাকার আওয়ামী- ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমুলের নেতা কর্মীরা অন্য কাউকে নয় একমাত্র বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনকে সভাপতি হিসেবে চায় । তুরাগ থানার প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিটেই রয়েছে তার গ্রহণ যোগ্যতা ও নেতৃত্বের সমর্থন । দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা মনে করেন, তুরাগ থানা আওয়ামীলীগে এই মুহুর্তে সৎ,নিষ্ঠাবান,দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রয়োজন । শিক্ষিত তরুণরাও মনে করেন এই থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে সর্বদিক দিয়ে বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনের কোন বিকল্প নেই । তুরাগ থানার একাধিক আওয়ামী- ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা মনে করেন অতীতের সকল রেকর্ড হিসেবে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব তার মধ্যেই রয়েছে । দলের প্রতি নিবির ভালোবাসা আর আওয়ামীলীগের ধারক বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রতি আস্থার হাল ধরতে দেশের প্রতিটি থানায় বীর- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নাসির উদ্দিনের মতো নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত । তিনি একজন সৎ, সাহসী, মেধাবী, পরিশ্রমী, ত্যাগী আওমীলীগের নেতা । তিনি বলেন, আমি মুজিব আদর্শকে আকড়ে ধরে ও বিশ্বমানবতার “মা” জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্ব সময় রাজপথে অংশ গ্রহন করে তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী ও জামায়াত বি.এন.পির পৈশাচিক রাষ্ট্রপরিচালনার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করার কারনে বহুবার হয়রানির শিকার হয়েছি । তিনি আরও বলেন, সুবহে-সাদীক হইতে মধ্যরাত পর্যন্ত সকল পর্যায়ের তৃন-মূল নেতা কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে রাজপথে অবস্থান করি । এমনকি রাজনৈতিক জীবন শুরুর দিন থেকে আজ-অবধি একটি দিনও রাজনীতির রাজপথ থেকে ছুটি নিয়ে অবকাশ যাপন করেনি ।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments