সারাদেশ

হরিপুরে ইউএনও বলছে তাই তালা ভাংগে পরিষদে চেয়ারম্যান

জসীম উদ্দিন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা চেয়ারম্যানের কার্যালয় অবশেষে তিন দিন পর ইউএনওর হুকুমে তালা ভেঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন। গত শুক্রবার সকালে স্কুলের জমি দাবি করে জোরপূর্বক হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীনের নির্দেশে বিদ্যালয়ের পিয়ন নুরুল ইসলাম জেলার হরিপুর উপজেলার হরিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে থাকা ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবের রুমে তালা ঝুলিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি তৎক্ষণাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশাকে অবহিত করা হলে প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। পরে ইউএনওর নির্দেশে ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবে তালা খুলে দেওয়া হলেও ইউনিয়ন পরিষদের রুমের তালা ঝলিয়ে রাখা হয়।

জন্ম নিবন্ধন, পরিচয় পত্র, চৌকিদারী ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জন-সাধারণ তাদের সেবা না পেয়ে ঘুরে যায়।

বিষয়টি সর্বমহলের জানাজানি হলে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা পরিষদের তালা ভেঙ্গে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করার চেয়ারম্যানকে হুকুম দেন। তাই তিনদিন পর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের উপস্থিতে গ্রাম পুলিশ ঝুলিয়ে রাখা তালা ভেঙ্গে পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালে এই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি এখানে স্থাপিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্ত ৩০ বছর পর হঠ্যাৎ করে হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীন স্কুেলর জমি দাবি করে কিভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আরো বলেন সরকারি খাস জমির উপর নির্মিত করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদটি। হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন নুরুল ইসলাম তালা ঝুলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমি তালা ঝুলিয়েছি।

তালা ঝুলার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদের সম্মূখে থাকা ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাব হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিতে আছে। তাই আমি বেদখলে থাকা আটটি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবে তালা দিতে বলেছি তবে ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় নাই। কে বা কাহারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়েছে আমি বলতে পারবো না।

হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা'র কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ইউনিয় পরিষদ, ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবে তালা দেয়ার বিষয়টি আমি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারি। তৎক্ষণাত স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনকে ইউনিয় পরিষদ, ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবের তালা খুলে দিতে বলা হয়েছিল। ৮টি দোকান ও উপজেলা প্রেসক্লাবের তালা খুলে দেওয়া হলেও ইউনিয়ন পরিষদের তালা খুলে দেওয়া হয়নি বলে ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবহিত করলে পরে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি তালা ভেঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু করতে।


Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments