সারাদেশ

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় কাঁচা মরিচের চড়া দাম॥

ফুলাবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় কাঁচা মরিচের চড়া দাম। বেড়ে খুচরা বাজারে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এছাড়া শুকনা মরিচের দামও বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। গত কয়েক দিন আগে তীব্র গরম ও সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন মরিচ ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রবিবার ফুলবাড়ী পৌর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ পাইকারি ২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই মরিচ খুচরা দোকানে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। অপরদিকে শুকনা মরিচ খুচরা বাজারে প্রকার ভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ও শুকনা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আতাউর রহমান বলেন, প্রতিদিন নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। দুইদিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১৬০ টাকা। আজ কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে শুকনা মরিচের দামও বেড়েছে। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বাজার নিয়মিত মনিটরিং না হওয়ার কারণেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছা মতো দাম বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফুলবাড়ী পৌর শহরের শিবনগর ইউপির কৃষক সামসুল আলম জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া নীলফামারি, লালমিনর হাট, জয়পুর হাট ও বগুড়া এলাকা থেকে প্রচুর পরিমানে কাঁচা মারিচ সরবরাহ করা হত দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায়। এখন সরবরাহ কম থাকায় এবং প্রাকৃতিক দূযোর্গর কারণে কাঁচা মরিচ সরবরাহ কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে তীব্র গরম এবং হঠাৎ করে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। তাতে উৎপাদনও অনেক কম হচ্ছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে মরিচের দাম বেড়েছে।
কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আতাউর রহমান জানান, উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাজারে কাঁচা মরিচ আমদানি কম হওয়ার কারণে মোকামগুলোতে বেশি দামে মরিচ বিক্রি করছেন কৃষকরা। আমরা ব্যবসায়ীরা ওইখান থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, বর্ষা মৌসুমে মরিচের ফলন কম হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বর্ষা গেলে নতুন গাছ থেকে চাষিরা মরিচ সংগ্রহ শুরু করবে এবং বাজারে দামও কমে আসবে। তবে শুকনা মরিচের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। কারণ আড়ত দারদের কাছে শুকনা মরিচ প্রচুরপরিমান মজুদ রয়েছে। চড়া দাম পাওয়ার আশায় তারা বাজারে শুকনা মারিচ ছাড়ছে না।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments