সারাদেশ

কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প থেকে

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার চারালকাটা নদী সোজাকরণ এবং বুড়ি তিস্তা নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য সরকার কর্তৃক একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিলাম বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ২৬২.৪১ লাখ ও চুক্তি মূল্য ২৩৬.১৭ লাখ টাকা। কিন্তু সেখান কার মাটি ও বালু হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গাংবের হাজিপাড়া গ্রামে মৃত নুরু বানিয়ার ছেলে নজরুল ও একই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আফজাল হোসেনের পুকুর ভরাট করে দিচ্ছে মেসার্স আল মামুন এন্টারপ্রাইজ হোল্ডিং নং - ০৭, ওয়ার্ড নং- ০২, পুলিশ লাইন রোড, বরগুনা।

 ম্যানেজার হাবীব ও স্থানীয় আলী নামের এক ব্যাক্তি দু,জনে যোগশাজগে লুপ কাটিং এর সরকারী মাটি ও বালু দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির পুকুর, খাল, ভরাট করার টাকা পানি উন্নয়নের কর্মকর্তা ও তারা দু,জনে নিজেদের পকেট যাত করছে। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও বালুর একটি স্থুপ করে রাখার কথা থাকলেও কিন্তু তারা তা না করে প্রকাশ্রে দিনের বেলা ১০ থেকে ১২ টি মাহিন্দ্রা গাড়ীতে করে ও বিভিন্ন মানুষের পুকুর, খাল, ভরাট করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিচ্ছে।

নাম প্রকাশ্রে অনিচ্ছুক এলাকার বেশকিছু মানুষ বলেন যে, হাবীব ও আলী লুপ কাটিংয়ের মাটি ও বালু বিক্রি কর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং তাদের সাথে পানি উন্নায়ন বোর্ডের তদারকি কর্মকর্তা এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাও আছে।

এ ব্যাপারে মেসার্স আল মামুন এন্টরপ্রাইজের ম্যানেজার হাবীবের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন তিনি অফিসের স্যারেরা যেটা বলেছে আমি সে ভাবে কাজ করছি আপনি সরাসরি বিষয়টি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে বুঝবেন। তিনি বলেন আপনি তাদের সাথে কথা বলেন তা হলে বুঝতে পাড়বেন। আল মামুন এন্টার প্রাইজের মালিক শাহাদত হোসেনের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি নাম্বার দিতে অস্বীকৃতী জানান।

লুপ কাটিংয়ের মাটি ও বালু এক স্থানে স্থুপ করে রাখার কথা থাকলেও তারা তা না করে মাটি ও বালু বিক্রি করছে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নায়ন অফিসের এম এল এস এস রতন বলেন, শাহীন স্যার অসুস্থ থাকার কারণে সেখানে তদারকি করছেন তিনি। আরোও বলেন এই এলাকার মানুষ আমার পরিচিত হওয়ায় তিনি শুধু বসে বসে দেখেন। দু এক বার প্রশাসনের কাছে আইনের সাহায্য চাইলেও ইউ এন ও স্যার লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন আমি একজন ছোট কর্মচারী আমি কি লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে পারি। রাঘব, বোয়ালরা জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তার কি করার আছে। বিক্রিত মাটি ও বালুর টাকার একটি অংশ তারাও পান তাই তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর পানিউন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ঠিকাদার নজরুল ইসলাম ও আফজালের সাথে চুক্তি করে লিজ নিয়েছে। পরে তা সরিয়ে নেয়া হবে। পুকুর ভরাটের কথা বললে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা মোফাক্কারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাবীবের কথা বললে, বলেন সে নাকি লিজ নিয়েছে, অন্যের পুকুর ভরাট করে দিচ্ছে। পরে তা খনন করে তুলে নেয়া হবে বলে জানান। পড়ে তিনি সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলতে বলেন, বলে ফোনের লাইন টি কেঁটে দেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments