আইন-আদালত

ফুলবাড়ীতে মায়ের জমি ফিরে পেতে আদিবাসী পরিবারের ৩৬ বছরের আইনী লড়াই।

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
শ্রী মোহন সরেন নামে এক সাওতাল আদিবাসী, তার মা সরলা মুরমুর জমি ফিরে ৩৬ বছর থেকে সরকারের সাথে আইনী লড়াই চালিয়ে জমি পেলেও, স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি জন্য এখনো শান্তিপূর্ন ভাবে দখল ভোগ করতে পারছেনা সেই জমি। এখন নতুন কওে শুরু হয়েছে আবারো আইনী লড়াই।
স্থানীয় ব্যাক্তিরা জমির মালিকানা দাবী করে জমিতে হাল চাষ করতে বাধা প্রধান করেছে শ্রী মোহন সরেনকে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে।
এদিকে দির্ঘদিন আইনী লড়াই চালিয়ে আসতে শেষ হয়েছে শ্রী মোহন সরেনের সংসারের গরু-ছাগল গৃহপালতি পশু সবেই গেছে মামলার খরছ যোগাতে। এত কিছুর পরে যখন সরকারের নিকট থেকে জমির মালিকানা ফিরে পেয়েছেন, তখন নতুন করে এই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেছেন উপজেলার খাজার গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল নামে এক ব্যাক্তি।
শ্রী মোহন সরেনের অভিযোগ কওে বলেন জমি হালচাষ দিতে প্রায় সময় বাধা প্রদান করছেন মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল।
মোহন সরেন বলেন উপজেলার বলিহারপুর মৌজার এসএ ৫৭ খতিয়ানে ৩২২ ও ৩২৩ দাগে ১৩৮শতক জমি মুল মালিক ছিলেন উপজেলার সমসের নগর গ্রামের জোনাকু রায় বর্ম্মনের ছেলে শ্রী হরিমোহন রায় ও বলিহার গ্রামের চুনকু পাঠারীর ছেলে শ্রী কুঞ্জুলাল পাঠারী। তাদেও নিকট থেকে, ১৯৬৫ সালে মোহন সরেনের মা সরলা মুরমু খরিদ করেন,যার দলিল নং১৮২ এবং ১৯৮৬ সালে জমা খারিজ করেন যা খারিজ নং৫৯০। কিন্তু এর কয়েক বছর পর মোহন সরেন দেখতে পায় এই জমি ভিপি (ভেষ্ট্রেড প্রপাটি) হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে, যা পরবর্তিত্তে অর্পিত তালিকা ভুক্ত হয়। এরপর থেকে মোহন সরেন তার মা সরলা মুরমুর জায়গা ফিওে পেতে সরকারের সাথে আইনী লড়াই শুরু করেন। সরকারের সাথে দির্ঘ ৩৬ বছর আইনী লাড়াই করে ২০২২ সালে ৮ ফেব্রুয়ারী তিনি সকল কাগজপত্র ও মাঠ জরিপ নিজ নামে পেয়ে সরকারের সাথে আইনী লড়াই শেষ হয়। কিন্তু সরকারের সাথে আইনী লড়াই শেষ হলেও, এই জমি নিয়ে নতুন করে মালিকানা দাবী করছেন উপজেলার খাজাপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল নামে এক স্থানীয় ব্যাক্তি। এতেকওে শ্রী মোহন সরেনের আবারো শুরু হয়েছে আইনী লড়াই।
মোহন সরেন অভিযোগ করে বলেন মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল প্রায় সময় তাকে জমিতে হাল দিতে বাধা প্রদান করছেন, এবং প্রাণনাসের হুমকি দিচ্ছেন, এছাড়াও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হযরানী করছেন। এই জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল দাবী করে বলেন, তিনি রেকডিও মালিকের ছেলের নিকট থেকে আমমোক্তার নামা দলিল বলে এই জমির মালিকানা পেয়েছেন, বর্তমানে দিনাজপুর জজ আদালতে মামলা চলমান আছে বলে তিনি দাবী করেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments