সারাদেশ

মহেশপুরে আহত ব্যাক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

 ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, দেড় বছর আগে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সুলতান গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত ৬ জুন পুরন্দরপুর গ্রামের হালিমা খাতুনের বাড়িতে সুলতান ও হালিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তার দুই ছেলে রহিম ও রাসেল। রাতে ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ও পাশের ওয়ার্ডের মেম্বর আরিফুর রহমানসহ সুলতানের ভাই ফরিদ হোসেনের উপস্থিতিতে সুলতান ও হালিমার বিয়ে হয়। সকালে হালিমাকে নিয়ে সুলতান তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দিলে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১৩ দিন থাকার পর সুলতানের ভাই ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নেওয়ার আশ^াসে গ্রামে ডেকে আনে। সেখানে মারধর করে তাদের জোর করে তালাক দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর অসুস্থ হলে গত ২৪ জুলাই যশোরে ভর্তি করা হয় সুলতানকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ৩ তারিখে মারা যায়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষরা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। সুলতান অভিযোগ করে বলেন, সুলতানের লাশ বাড়িতে আনলে শুরু হয় রাজনীতি। ওই এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আমার ভাই মিজানুরের কাছে নির্বাচনে হেরে এটিকে হত্যা মামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি মামলা প্রত্যহারের দাবী জানান তারা। এদিকে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের সুলতান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পুরন্দপুর ঘাটপাড়ায় নুরানী মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার অসংখ্য নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুলতানের স্ত্রী আলেয়া খাতুন,ছেলে রিয়াজ হোসেন, রিফাদ হোসেন, বড় ভাই ফরিদ হোসেন,গ্রামবাসীর পক্ষে ফজলুর রহমান,মুক্তা বেগম,আলী আহম্মদ প্রমুখ। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু নিহত সুলতান হত্যার ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মিজান তার সমর্থকদের নিয়ে নিহত সুলতান (৪৫) কে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাছের সাথে বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন করে। সুলতান বুকে ও পেটে মারাত্মক আঘাত পেয়ে যশোর সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রায় একমাস পর তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মিজান মেম্বারকে প্রধান আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। যার নং-১১(৮)২২। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িত কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments