হাইকোর্টের রায়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে বহাল চিত্রনায়ক জায়েদ খান
তিনি বলেন, বিচারের বাণী কাঁদছিল আমার মধ্যে নীরবে। ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও আমি যখন বসতে পারছিলাম না, তখন আমি আইনজীবী জনাব আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথীর কাছে আসি। এ আইনজীবীরা দায়িত্বের বাইরে থেকেও আমার জন্য খেটে গেছেন। আমার আইনজীবীদের প্রতি আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ।
ওই সময় তিনি ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বলেন, অনেকেই আমার জন্য নফল রোজা রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।
জায়েদ বলেন, আমার জনপ্রিয়তাকে তারা ঈর্ষা করছেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তারা চালিয়ে যাবে।
নিপুণের উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি আমার শিল্পী। আমি এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার সমিতির সদস্য। আমার কথা হচ্ছে শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। চেয়ার নিয়ে টানাটানি, এটা যেন তিনি না করেন। মানুষ যাতে শিল্পী সমিতিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে, এমন কাজ যাতে তিনি না করেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেয় বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। এরপর বিষয়টি আপিল বিভাগ ঘুরে এসে দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় ঘোষণা করেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণকে।
এফডিসিতে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন। বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান।
গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়।
Comments