সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন

খায়রুন নাহার বহ্নি,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী নেতা মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। তারপরেও কি নির্যাতন বন্ধ হয়েছে ? পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের খবর। তাই নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন মামলা গুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।  
শনিবার (২৭ আগস্ট ২০২২) ‘ইয়াসমীন ট্রাজেডির ২৭ বছর পূর্তি ও গণ আন্দোলনে শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ স্মরণে দশমাইলের পূর্ব সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘স্মরণ সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের সহজ-সরল ও বাহে মানুষ গুলো ৯৫’র ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেখিয়েছেন তাদের বাহুকার জোড় কত। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে আমরা যে বিচার পেয়েছি তা বিশে^র ইতিহাসে বিরল।
ইয়াসমিন ট্রাজেডি পরিষদের আহবায়ক মোঃ মজিদুল ইসলাম মাষ্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক, জেলা আওয়াম লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল করিম, কাহারোল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুর, সাবেক সদস্য বজলুল করিম বাবলু, সুন্দরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মানিক। সঞ্চালনায় ছিলেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম। পরে আন্দোলনে শহীদ সামু-কাদের-সিরাজ স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট কিছু বিপথগামী পুলিশ সদস্য ইয়াসমিনকে ধর্ষনের পর শ^াস রোধ করে হত্যা করে। তারই প্রতিবাদে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার চূড়ান্ত রুপ নেয় ২৭ আগস্ট। সেদিন পুলিশের গুলিতে সামু, কাদের, সিরাজসহ ৭ জন নিহত হয়। সেই থেকে তাদের স্মরণে প্রতিবছর ২৭ শে আগস্ট স্মরণ সভা পালিত হয়ে আসছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments