জাতীয়

আশা করবো নির্বাচন থেকে বিএনপি পালাবে না: তথ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমরা আশা করবো, সেই নির্বাচন থেকে বিএনপি পালিয়ে যাবে না।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলানয়তনে ‘সবুজ বাংলাদেশ: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সংবিধান অনুযায়ী, অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হয়, অর্থাৎ যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আমাদের দেশেও তাই হয়, অন্য কোনও বায়না ধরে লাভ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ থেকে তো কেউ কাউকে সরাতে পারে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি পালিয়ে গিয়েছিল। ১৮ সালে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে নির্বাচনি ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল। এবার তারা নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়বে, নাকি ট্রেনে চড়বে— এই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, জনপ্রিয়তা যাচাই করুক।’বিএনপিকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে নারায়ণগঞ্জে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। তাদের যখন বারণ করা হলো, তাদের পার্টি অফিসের সামনে করতে বললো, তখন তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলো। পুলিশ বক্স ভাঙচুর করলো। অনেক পুলিশ আহত হলো। এভাবে তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চেষ্টা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই বিশৃঙ্খলা তাদের করতে দেওয়া হবে না। সরকারের পাশপাশি আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকে এগুলো প্রতিরোধ করবে।’
‘আন্দোলনে পরাজিত বিএনপি হবে না’, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে অনেক কথাই বলতে হয়। যেহেতু তাদের কর্মীরা সাড়া দিচ্ছে না— এ জন্য তাদের অনেক কথা বলতে হচ্ছে। এজন্য মির্জা ফখরুল সাহেবের গলা সবসময় চড়া দেখতে পাচ্ছি। এটাও দেখছি, তারা যে সভা সমাবেশগুলো করছে, সেখানে মানুষ আস্তে আস্তে কমছে।’
বিএনপির আন্দোলনের নমুনা এরই মধ্যে দেখা হয়ে গেছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা— সারা দেশে একটি গণ্ডগোল করার অপচেষ্টা চালানো। তারা যদি অতীতের মতো এই ধরনের অপকর্ম আবার করতে চায়, দেশে যেভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল, সেটি করার অপচেষ্টা চালায়, যেটির আলামত আমরা গত কয়েক দিনে দেখেছি। সরকার দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যেহেতু দেশ পরিচালনা করছে, আমাদের ও রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব আছে, জনগণের সঙ্গে থাকা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সূচনা বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments