বিশ্বযোগ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লিজ ট্রাস। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা।মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের বালমোরালে ট্রাসের কাছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হস্তান্তর করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথে।  
এর আগে, রানীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানায়, বরিস জনসন তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং রানী তা সদয়ভাবে গ্রহণ করেছেন। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতা হস্তান্তরটি খুব যত্ন সহকারে করা হয়েছে। রানীর অসুস্থতার কারণে এ বৈঠকগুলো লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে হয়েছে।
এর আগে, কনজারভেটিভ দলের অপর নেতা প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।
সাধারণ ভোটারদের বদলে এবারের নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য। সবশেষ ১১ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (এডওয়ার্ড হিথের পর থেকে) মধ্যে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হয়েই ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করা ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস।গতকাল সোমবার ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (১৯২২ কমিটি) চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলি। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ। এতে ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন লিজ ট্রাস। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি ভোট।
তারও আগে, গত ৭ জুলাই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনসন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৪৭ বছর বয়সী ট্রাস। তার বাবা ছিলেন গণিতের শিক্ষক ও মা নার্স। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন ট্রাস। এরপর নামেন রাজনীতিতে নামেন। ট্রাস প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি প্রাথমিকভাবে ব্রেক্সিট, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।পরে ব্রেক্সিটের নায়ক হিসাবে আবির্ভূত হওয়া বরিস জনসনকে সমর্থন করেন ট্রাস। ব্রিটিশ মিডিয়া প্রায়ই লিজ ট্রাসকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করে থাকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বর্তমানে স্কটল্যান্ডে তার গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জনসমক্ষে প্রকাশ্যে উপস্থিতিও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই লন্ডনে ফেরার পরিকল্পনা না থাকায় স্কটল্যান্ডে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ট্রাস।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments