সারাদেশ

পীরগঞ্জে সোনালী আঁশ চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় উৎপাদিত পাট যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। কৃষি প্রধান এ দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরাবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে সোনালী আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার এ উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষকেরা। চাষিরা পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ৩ হাজার টাকা মণ ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ২ হাজার ৫’শ থেকে ২ হাজার ৮‘শ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে পাট চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে তোষা ও দেশী পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে অনেক বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৮শত মেট্রিক টন নির্ধারণ থাকলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে উপজেলা পাট অফিস। উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের চাষী আব্দুল মোয়াজ্জেম, শানেরহাট ইউনিয়নের কৃষক বকুল মিয়া বলেন, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট বড় হয়েছে দ্রুত। আঁশও মোটা হওয়ায় ফলন একটু বেশি হয়েছে।
চতরা হাটে সিরাজগঞ্জ থেকে পাট কিনতে আসা বেপারী তরিকুল আলম বলেন, তারা বাপ দাদার আমল থেকে পাটের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি নিয়মিত চতরা হাট থেকে পাট কিনে থাকেন। প্রতি হাটে তিনি ট্রাক করে পাট কিনে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এবার পাটের দর কিছুটা বাড়তি।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে , সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রায় ৩ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে সার, বীজ বিতরন করেছে সরকার। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এবং পাট অধিদপ্তর কৃষকদের সাথে পরামর্শ করে পাটচাষে উদ্বুদ্ধ করতে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাট বিভাগ।
উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন জানান, চলিত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। দাম বেশি পেলে আগামীতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হবে উপজেলার কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাটের নায্য মূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments