সারাদেশ

পীরগঞ্জে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের এক অর্থবছরে ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের পীরগঞ্জে গ্রামীন অর্থনীতিকে সচর করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। উন্নয়ন গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নদী ও খালের উপরে ২ কোটি ৮লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে ৩ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার এইচবিবি’র মাধ্যমে ৭ কিলোমিটার রাস্তা হেরিং বন্ড করেছে। ৩ কোটি ৯৩ হাজার টাকা ৩৬৬ টি.আর প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদ,মন্দির,গীর্জা,প্রেগোডা, স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা, খেলার মাঠ সংস্কার করা হয়। কাজের বিনিময় টাকা এই অর্থবছরে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ৯৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মাটির রাস্তা তৈরী, রাস্তা সংস্কার,মাটি ভরাট, মাঠ ভরাট, সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার কাজর্যালয় সুত্রে জানা গেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে গোপীনাথপুর হতে বাম কানুপুর যাওয়ার রাস্তায় করতোয়া মরা নদীর উপরে ব্রীজ, কাবিলপুর ইউনিয়নের টুকনিপাড়া থেকে জুনাইদপুর রাস্তায় বোয়লমারী মরা খালের উপরে ব্রীজ, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রাম হইতে কৃষ্ণপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় সাফির বাড়ীর নিকট সোমতি ক্যানেলের ইপর ব্রীজ নির্মাণ। এইচবিবি’র মাধ্যমে ৭ কিলোমিটার রাস্তা হেরিং বন্ড উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বাশেঁর ঝাড় থেকে রোহিঙ্গার বাজার মোড়, চকপাড়া বড় মসজিদের সামনে রফিকুলের বাড়ীর মোড় হয়ে আশ্রায়ন প্রকল্প পর্যন্ত হেরিং বন্ড করায় প্রায় দেড় কিলোমিটার, রায়পুর ইউনিয়নের চাঁন্দের বাজার হতে কালামের বাড়ী পর্যন্ত ৫শত মিটার রাস্তা হেরিং বন্ড, বড়আলমপুর ইউনিয়নের উজিরপুর পাকার মাথা হতে উজিড়পুরগামী রাস্তা হেরিং বন্ড, চৈত্রকোল ইউনিয়নের ভবনচুড়া তছলিমের বাড়ীর নিকট হতে পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের সিংগার পাড়া পাকা রাস্তার মাথা থেকে ডীপ মেশিন পর্যন্ত রাস্তা করাসহ উপজেলার রামনাথপুর,পীরগঞ্জ,মদনখালী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজারের অধিক মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও কাজের বিনিময় খাদ্য এই অর্থবছরে চাল ৩৩৯.২৫৪ ও গম ২৭৪.৪৬৪ মট্রিক টন রাস্তা পূণঃসংস্কার, মাটি ভরাট, মাঠ ভরাট ৮৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। পীরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জনগনের চলাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে পল্লী এলাকায় সেতু ও রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রীজগুলো ৫০ফিট দৈর্ঘ্য প্রস্থ ১৪ ফিট। এই অর্থবছরে ৩টি ব্রীজের কাজ চলছে একটি ব্রীজ নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না বিআরডিবি আগে টেন্ডার করায় উক্ত স্থানে ব্রীজ নির্মাণ করছে। নির্মাণাধীন ব্রীজগুলোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। সেতু নির্মাণে কাজের গুনগত মান খুবই ভালো, এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে আরও সেতু, রাস্তা ও কালভাট নির্মাণের ইচ্ছা পোষন করেন তিনি। বিগত চার বছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের নির্মাণাধীন ৫০ এর অধিক সেতু ও কালভার্ট নির্মান করেছে ব্রীজ কালভার্টগুলো গুলো হচ্ছে- চতরা ইউনিয়নের কুমারপুরের ডাংগাপাড়ায় ব্রীজ, কাবিলপুর ইউনিয়নের আঁখিরা খালের উপর ব্রীজ, শানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুরের দামোদরপুর ও দুবরাজপুর মন্ডলপাড়া শানেরহাটগামী সড়কে ব্রীজ। চৈত্রকোল ইউনিয়নের অনন্তরামপুরের বাসুদেবপুরে ও শাল্টি পশ্চিমপাড়া সড়কে। বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাসপুরের সড়কে ব্রীজ। পাঁচগাছি ইউনিয়নের পদ্দপুকুরের সড়কে ব্রীজ। দুরামিঠিপুর ইউনিয়নের সৈইল ডুবরি বিলের সড়কে ব্রীজ ,টুকুরিয়া ইউনিয়নের ভাদুরার ঘাট হতে ছিলিমপুরগামি সড়কের মরা নদীর উপর ব্রীজ, আটিয়াবাড়ি হতে বাবুর চিলি সড়কের নকরের ঘাটে ব্রীজ, ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের মথুরাপুর হতে পানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামি সড়কে ব্রীজ, সন্দোলপুর হতে সুরানন্দপুরগামি সড়কে কালভার্ট, কুমেদপুর ইউনিয়নের মহদীপুর শরীফের পাড়া হতে কুমেদপুর বাজারগামি সড়কের আঁখিরা খালের উপরে ব্রীজ। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাকপুর-সরলিয়া সড়কের আঁখিরা খালের উপরে ব্রীজ , রায়পুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর-দ্বাড়িকামারি সড়কের শশ্বানঘাটে ব্রীজ, চান্দের বাজার-খস্টি সড়কের আঁখিরা খালের উপরে মরা নদীর উপরে ১৫ মিটার ও ১৮মিটার দৈর্ঘ্যে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চতরা, কুমেদপুর , কাবিলপুর ও টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রবি ও আতাউর রহমান জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নির্মিত সেতু- কালভার্ট রাস্তাগুলো নির্মাণের ফলে জনসাধারণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে। ইউনিয়নেরসমুহে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের যাতায়াত সহজ হয়েছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments