সারাদেশ

সাদুল্লাপুরে কাতলীর বিলে পদ্মফুলের বাহারী সমাহার

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
বিস্তীর্ন এক বিলে চারদিকে পানিতে থৈ থৈ করছে। সেই পানির ওপর ফুটেছে লাল, গোলাপী ও সবুজ রংয়ের সুঘ্রাণিত পদ্মফুল। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসুরা ছুটে আসছেন প্রতিদিন। এমন কেউ আছে যে ফুলকে ভালবাসেনা। এক সময় খালবিল নদীনালা আর পুকুরের পানিতে সচরাচর শাপলা, পদ্ম সহ নানা ধরনের ফুল ফুটতো। যা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে অনেক খাল বিল আর নদীর শুকনাতায় মনকাঁড়ানো ফুলের সেই সমাহার তেমন আর চোখে পড়ে না। এ কারণে ফুলের এমন দুর্লভ মুহুর্তে থোকা থোকা পদ্মফুলের সন্ধান মিলেছে গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ও সাদুল্লাপুর উপজেলা শহর থেকে ১০ দুরে দামোদরপুর ইউনিয়নের কাতলির বিলে। সূর্যতাপে ঝলকাঁনো পদ্মফুলের শোভাবর্ধন ছড়িয়ে গোটা বিলটিকে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়েছে।
সাধারণত শরৎকালে এ ফুল রাতে ফোটে এবং সকাল থেকে রৌদ্রের প্রখরতা বৃদ্ধির পূর্ব পযর্ন্ত প্রস্ফুটিত থাকে। স্বভাবত পদ্মফুল আকারে বড় এবং অসংখ্য নরম কোমল পাপড়ির সমন্বয়ে এর সৃষ্টি । এ ফুল ঊধ্বর্মুখী এবং মাঝে পরাগ অবস্থিত। লাল গোলাপি আর সবুজ রংয়ের ফুটন্ত তাজা ফুলে মিষ্টি সুগন্ধ থাকে। সুবাস ভরা একরাশ স্নিগ্ধতা ফুলের ভালবাসার ছোঁয়া নিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্নস্থান থেকে অসংখ্য নারী পুরুষ বিলপাড়ে ভীড় করছেন।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অনেকেই পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের নিয়ে ফুলের সাম্রাজ্যে কাতলির বিলের এপাড় থেকে ওপাড়ে নৌকা নিয়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন। এ সময় উচ্ছ্বাসিত বিনোদন প্রেমিকেরা একে অপরকে ফুল আদান প্রদান করেন। স্থানীয়রা জানান,এই পদ্মফুল এলাকার অনেকের উপার্জনের পথ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এ এলাকার কেউ নৌকা ভাড়া দিয়ে আবার অনেক দরিদ্র পরিবারের মানুষজন দলবেঁধে বিল থেকে ফুল কেটে নিয়ে হাট বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ফুলের ভালবাসার মুগ্ধতায় বিলের আশেপাশের মানুষজনও খুশির জোঁয়ারে ভাসছে। তাদের ভাষ্য বাড়ি থেকে বের হলেই বিলটির দিকে তাকালে মনটা যেন আনন্দে ভরে যায়। সবসময় মানুষজনের সমাগমে মনে হয় কাতলির এ বিলটি একটি বিনোদন কেন্দ্র। ফুলের ভালবাসায় সিক্ত ছুটে আসা দর্শনার্থী লাইলী বেগম, রুমা আকতার,মিলন মিয়া, সোহাগ ও ফরিদ মিয়া সহ অনেকেই বলেন,লোকমুখে শুনে এ বিলে পদ্ম ফুলের বাহারী সৌন্দর্য্য দেখে খুব ভাল লাগছে।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফুলের কদর কিংবা ভালবাসায় মানুষের কখনো কমতি নেই। এ ধারাবাহিকতায় ফুলের সৌন্দর্য্য ঘেরা দৃষ্টিনন্দন বিলে দিনভোর ছুটে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন। ইতিমধ্যে এবিলে প্রস্ফুটিত ফুল সংরক্ষনে ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিলটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments