অপরাধ

মহেশপুরে কোদলা নদীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন

ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোলাডাঙ্গা বাজারের কোদলা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে চলে বালু উত্তোলন। যা দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারের গর্ত ভরাট, বিভিন্ন স্থানে বিি করাও হচ্ছে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু ও তার সহযোগীরা অবৈধ ভাবে এই বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ অপকর্মের সহযোগিতা করছে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে ভোলাডাঙ্গা বাজারের কোদলা নদী ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভোলাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক স্কুল মাঠ ভরাটের নামে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা। এর ফলে নদীর দুধারের পাকা রাস্তা , বসতবাড়ী ও বাজার যে কনো সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন , স্কুলের মাঠ ভরাট করতে হলে বেলে মাটির প্রয়োজন হয় । বালু দিয়ে মাঠ ভরাট করলে সেখানে খেলা করা যায় না । বালু আইন অনুযায়ী লোকালয় বা কোন স্থপনা থেকে তিন কিলোমিটারে মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজার কমিটির এক নেতা বলেন, স্কুলের মাঠ ভরাট ও বাজারের বিভিন্ন গর্ত ভরাট করার জন্য যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের ২ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। আরেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দুই পাশের সড়ক ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বালু তোলা হচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কিছুই বলছে না। তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী এই বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত বলে আমরা ধারনা করছি। না হলে বার বার এলাকা থেকে অভিযোগ দেওয়ার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি কেন। এমনকি যে চেয়ারম্যান এ কাজ করছে সেই চেয়ারম্যান প্রতিদিন ইউএনও’র অফিসে গিয়ে বসে থাকে। ইউএনও আর চেয়ারম্যান এই বালি তুলে বিক্রির চেষ্টা করছে। এ ব্যপারে নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন , নির্বচনী ওয়াদা অনুযায়ী স্কুলের মাঠ ভরাটের জন্য কোদলা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লোকালয়ের মধ্য থেকে এভাবে বালুৃ উত্তোলন করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে অনেক কিছু করতে হয়। বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, আমি নেগেটিভ কোনো বক্তব্য আমি দিব না। বিষয়টি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমকে অবহিত করলেও তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments