সারাদেশ
কিশোরগঞ্জের ইউ এন ও সাংবাদিকে হুমকি দিলেন

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রায়ন প্রকল্প -২ এর কাজে নীলফামারী কিশোরগপ উপজেলার খোলা কাগজের প্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলা ও জেল দেয়ার হুমকি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- আলম সিদ্দিকি।
আমরা ১ নং পুটিমারী ইউপির ভেরভেরি ধাপের ডাংগা নামক স্থানে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর কাজ দেখতে গিয়ে ছিলাম। তখন সে খানে মিস্ত্রি ছিল না। তারা তখন ভেরভেরি হাজি পাড়ায় কাজ করতে ছিল। আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। রং মিস্ত্রিকে প্যাকেট করে ইউএনও মিথ্যার আশ্রায় নিয়ে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
গত ২৬ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ২ নং পুটিমারী ইউনিয়নে ভেরভেরি ধাপের ডাংগা নামক জায়গায় ৭১ টি ঘর রং করা হয়েছে। কিন্তু তা সঠিকভাবে না হওয়ায় দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধিকে মোবাইলে, চাঁদাবাজ ও মামলালা দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইউ এন ও নূরে-এ-আলম সিদ্দিকি।
এ বিষয়ে একজন রং মিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম না প্রকাশ করার শর্তে, বলেন ১ টি করে ঘরে ২৫ কেজি করে রং দিয়ে কাজ করলে তা হলে সঠিক ভাবে রংটি বসবে। রং মিস্ত্রি মানিক বলেন আমাকে ৪০ কেজি রং দিয়ে ৩টি করে ঘর রং করার কথা বলেছে ইউ এন ও স্যারের ভাতিজা আরিফ ভাই তাই আমরা সেভাবে কাজ করছি। যার ফলে সঠিক ভাবে রং ঘরের সব জায়গায় বসেনি। বিশেষ করে ঘরের পিছনের দিকে এ সমস্যা বেশি আছে।
সেখানে নির্বাহী অফিসারের ভাতিজা আরিফ ও আহসান নামে দুই জন ব্যাক্তি আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর সব কাজ তারা দেখেন। ইউ এন ও তাদের নাকি দায়িত্ব দিয়েছেন বলে যানান এর আগে যিনি এ সব তদারকি করছেন। কিশোরগঞ্জ মৎস্য অফিসের মাস্টার রোলে চাকুরি করেন চঞ্চল মিয়া। যত সরকারী ঘর তৈরি হচ্ছে তা তারা দুজনে দেখাশোনা করে। আরিফকে দায়িত্ব দিয়েছে এউ এন স্যার, আবার আরিফ দায়িত্ব দিয়েছে সেখানে কার বাদশা নামে একজনকে দেখাশোনার জন্য।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন কে মামলা ও হুমকির বিষয়ে অবগত করলে তিনি বলেন সেখানে যা পেয়েছেন তা আমার হোয়াট্যাস এপ্যা এ দেন আমি দেখতেছি। আর রং যদি সঠিক ভাবে না করা হয় তাহলে আবারো রং করতে হবে।
Comments