সারাদেশ
হোটেলে বর্ণবৈষম্যের শিকার হরিজন জনগোষ্ঠীর এক শিক্ষার্থী
রংপুরঃ জাত-পাত ও পেশা-ভাষার কারণে রংপুর মৌবন হোটেলে শিক্ষার্থী জীবন বাসফোর এর প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও খেতে না দেয়ার প্রতিবাদে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, রংপুর জেলার পক্ষ থেকে ৩অক্টোবর,সোমবার বেলা ১২টায় কাচারি বাজার চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে সঞ্চালনা করেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, রংপুর জেলার সহ-সভাপতি রাজু বাসফোর ।সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর। বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, রংপুর জেলার সদস্য রাজা বাসফোর,সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর, উপদেষ্টা শবরন বাসফোর, লিটন বাসফোর প্রমুখ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র,রংপুর জেলার সদস্য এডভোকেট কামরুন্নাহার খানম শিখা,বাসদ (মার্কসবাদী), রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু। বক্তারা বলেন গত ১ অক্টোবর, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন বাসফোর রংপুর মৌবন হোটেলে খেতে গেলে তাকে হোটেল ম্যানেজার ও কর্মচারীরা মেথর,সুইপার বলে খেতে দেয় নি।জীবন বাসফোর কেন খেতে পাবো না জানতে চাইলে তারা তাকে অকত্থ ভাষায় গালিগালাজ করে,ধাক্কা মেরে বের করে দেয়।পরে ম্যানেজার লিখিত ভাবে কাগজ দেয় যে এই হোটেল সুইপারদের খাওয়া নিষেধ।আমরা এই জঘন্য অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।আজও স্বাধীন দেশে হরিজন জনগোষ্ঠীকে জাত-পাত, পেশা ও ভাষার কারণে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে, যা এই সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তি মানুষের বিকাশে বড় বাধা। দেশের উন্নয়নে হরিজন জনগোষ্ঠী বরাবরই ভূমিকা রাখলেও আজও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের সর্বস্তরের জনগণকে হরিজন জনগোষ্ঠীর প্রতি সৌহার্দপূর্ণ আচরণ ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতারা এই ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
Comments