September 20, 2024
সারাদেশ

পীরগঞ্জে ক্লুলেস হত্যা মামলা ররহস্য উদঘাটন

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে ক্লুলেস হত্যা মামলা ররহস্য উদঘাটন করেছেপুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বেল্ট জব্দ করেছে পুলিশ। ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
জানা গেছে, গত ০৯ অক্টোবর রোববার বেলা আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, পীরগঞ্জ থানাধীন রংপুর- ঢাকা হাইওয়ের পাশে লালদিঘিস্থ জনৈক রফিকুল ইসলাম এর পটল ক্ষেতে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে আছে। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পাচইল গ্রামের হাফিজুল ইসলামের তৃতীয় লিঙ্গের মোঃ নাহিদ ওরফে জুই আক্তার নাগিনী (২০), লাশের পরিচয় সনাক্ত করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। ভিকটিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম পীরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৯, তাং-০৯.০৯.২২ ইং। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রামপুরা গ্রামের দিলিপ চন্দ্র সরকারের ছেলে শিশু সজল চন্দ্র সরকার (১৬), কে আইনের হেফাজতে নেয়। তার হেফাজত থাকা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বেল্ট ভিকটিম নাগিনী’র কাছে থাকা ৩’শ ৭০ ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। গত ৩/৪ মাস আগে সে মিঠাপুকুর থেকে পীরগঞ্জ এসে তার সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে বসবাস করতে থাকে। নাগিনী নিয়মিত পীরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড, বড়দরগা ও ধাপেরহাটে গাড়ি থেকে টাকা তুলতো।সজল পেশায় একজন লেগুনা হেল্পার।পীরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে লেগুনার হেল্পারি করত। নাগিনী পীরগঞ্জে নিয়মিত আসার সুবাদে সজলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে তারা মৌখিকভাবে বিবাহ করে। বিবাহের কথা গোপন রেখে। নাগিনী সজল মাঝে মাঝে দেখা করতো। গত ৩/৪ মাস আগে নাগিনীকে সজল তাকে ভুলে যেতে বললে নাগিনী নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গত শুক্রবার বিকেলে নাগিনী তার সর্দারনী সাইফুল ইসলাম ওরফে স্মৃতি’রকাছ থেকে ৫ দিনের ছুটি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর সে পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এসে সজল কে রাত আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকায় পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাদের ফিলিং স্টেশন থেকে ভ্যান যোগে লালদিঘীতে আসে । সেখানে দুইজন মিলে গল্প করার পরে রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় পাশেই রফিকুল ইসলাম এর পটল ক্ষেতে শারীরিক সম্পর্ক করে। সজল নাগিনীকে তাকে ভুলে যেতে বলে এবং তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে। নাগিনী তাতে রাজি হয়না। প্রয়োজনে সে মরতে রাজি আছে কিন্তু সজল কে ছেড়ে যাবেনা। সজল রাগান্বিত হয়ে তার কোমড়ের বেল্ট খুলে নাগিনীর গলায় বেধে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর নাগিনীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে রংপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল মোঃ কামরুজ্জামান জানান-আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু সজল দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহা জতে প্রেরণ করেছে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments