স্বাস্থ্যসেবা

ভোগান্তিতে পরিপূর্ণ ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল, চাই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চারটিই ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা। আর সদর উপজেলার পাশেই দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। একদিকে সীমান্ত, অপরদিকে সর্বশেষ জেলা হওয়ায় চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন এখানে। কিন্তু ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করলেও আজও জনবল সংকটে ভুগছে হাসপাতালটি। আর ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী আসায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে, রোগীর অতিরিক্ত চাপে ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় আধুনিক সদর হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে আলাদা কোনো জেলার সম্পৃক্ততা না থাকায় সকলে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন জেলা সদর হাসপাতালে। পাশাপাশি পাশের জেলা ও উপজেলা থেকেও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন মানুষজন। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার মানুষের আসা যাওয়া ঘটে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে। অপরদিকে, চিকিৎসা ব্যবস্থার মান উন্নত করতে ও সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা পাবার আশায় দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি করে যাচ্ছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষজন। তাদের দাবি জেলায় এ দাবি বাস্তবায়ন হলে অকালে কোনো প্রাণ ঝরে পড়বে না। পাশাপাশি জেলার শিক্ষা ও অর্থনৈতিক মান বৃদ্ধি পাবে। নিরাপদ সড়ক চাই এর ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি আবু মহিউদ্দিন বলেন, এ জেলার পাশাপাশি আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলার মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্র ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। চাহিদা অনুযায়ী এ হাসপাতালের সক্ষমতা অনেক কম। যদি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করা হয় তবে পড়াশোনার মান বৃদ্ধির সঙ্গে চিকিৎসার মান বাড়বে। ঠাকুরগাঁও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চাই আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রবীণ সাংবাদিক শাহীন ফেরদৌস বলেন, প্রতিমাসে সুচিকিৎসার অভাবে আমাদের জেলার অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিজ জেলা ও পাশের জেলায় উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় দৌড়াতে হয় রংপুর ও ঢাকায়। এতে যাতায়াতের আগে রোগীর সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আমরা পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ আন্দোলন করছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এ জেলায় শিক্ষার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি সুচিকিৎসা পাবেন অনেক মানুষ। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান বলেন, আমাদের হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও জনবল এখনও ১০০ শয্যার। আমরা জনবল সংকটে আছি। তবুও আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জেলার ২০ লাখ মানুষসহ আশেপাশের ১৫ লাখ মানুষেরসহ ৩৫ লাখ মানুষের সেবা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে সদর হাসপাতাল। আমাদের জনবল কম হলেও আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। আশা রাখছি খুব স্বল্প সময়ে এ সমস্যা নিরসন হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments