খেলা
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

গেল বার গ্রুপ পর্বে ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টের ফেভারিট হিসেবে দেখা শুরু করেছিলেন অনেকেই। তবে সেবার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল বাবর আজমের দলের।
২০২১ সালের সেই আক্ষেপ ২০২২ সালে এসে ঘুচিয়েছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে হারিয়ে দিলো বাবর আজমের দল, নাম লেখালো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
লক্ষ্য ছিল ১৫৩ রানের। রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনাই করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে পাকিস্তান বিনা উইকেটেই তুলে ফেলে ৫৫ রান।
এর আগে নিউজিল্যান্ডকে দারুণভাবে চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। ৪৯ রানে হারিয়ে কিউইরা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন দলকে এগিয়ে দেন। তারপর ঝোড়ো ব্যাটিং করেন ড্যারেল মিচেল।
তবে সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের পুঁজিটা খুব বড় হয়নি। ৪ উইকেটে ১৫২ রানেই আটকে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটাই ভালো ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি এলবিডব্লিউ করেন ফিন অ্যালেনকে (৩ বলে ৪)। দেখেশুনে খেলতে থাকা ডেভন কনওয়ে ২০ বলে ২১ করে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন।
পাওয়ার প্লেতে তারা একদমই সুবিধা করতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩৮ রান। অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরতি ক্যাচ বানান গ্লেন ফিলিপসকে (৮ বলে ৬)।
সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেলের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি। ৪২ বলে ৪৬ করে উইলয়ামসন বোল্ড হন শাহিন আফ্রিদির বলে। তবে ড্যারেল মিচেল একদম ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩৫ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১২ বলে ১৬ করেন জেমস নিশাম।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট।
Comments