সারাদেশ
বি ডি ই আর এম'র ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলন-২০২২ শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিডিইআরএম কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও নাগরিক উদ্যোগ'র প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
বিডিইআরএম ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি গগণ লালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা অমিতাভ চক্রবর্ত্তী, বিডিইআরএম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভূতোষ রায়, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ভক্ত, দলিতনারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাস।
বিডিই আরএম'র আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক তামান্না সিং বাড়াইকের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিডিইআরএম সচিবালয়ের সমন্বয়কারী এ বিএম আনিসুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রাজেন্দ্র কুমার দাস, সহ সাধারণ সম্পাদক বনানী বিশ^াস, সহসাধারণসম্পাদকশিপনরবিদাসপ্রাণকৃষ্ণ, নারীবিষয়কসম্পাদকসনুরানী দাস, ছাত্র ও যুববিষয়কসম্পাদকশাওনভুইমালী, সাবেক কেন্দ্রীয়সদস্য সজীব রবি দাস, ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনি দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউ. কে. নন্দম জয়, মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি তাপস রাজবংশী, নরসিংদী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনি দাস, গাজীপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপনকুমার শিপু, ঢাকার ওয়ারী থানা কমিটির সভাপতি কাজল রবি দাস, সাধারণ সম্পাদক রতন রবি দাস, যাত্রাবাড়ী থানা কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক আশা রানী প্রমুখ।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরুহওয়া এ সম্মেলনে ঢাকাবিভাগের বিভিন্ন জেলার দলিত জনগোষ্ঠীর কষ্ট-দুর্দশা ও বঞ্চনার কথা উঠে আসে। বক্তাগণ দলিতদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন, ভাতা, বৃত্তি, সরকারী অনুদানসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দলিতদের অগ্রাধিকার ও সহায়তা বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। এছাড়াও বক্তাগণ ২০০৮ সাল থেকে চলমান বিডিইআরএম'র দেশব্যাপী কর্মকান্ডের সফলতা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, “পরিচয়ের কারণে আমাদের ভিন্নতা আছে। জন্ম-পেশা, গায়ের রং, সংস্কৃতি, ভাষা, জাত পাত ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্য চলে আসছে শুরু থেকেই। সুদীর্ঘ মতবিনিময়ের প্রেক্ষিতে সার্বজনীন মানবাধিকারের ধারনায় ৩২ টি পয়েন্ট যুক্ত হয়। সরকারীভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলা হলেও দলিতরা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আদিবাসীরা যেমন সুসংগঠিত, দলিতরা তেমনঐক্যবদ্ধ নয়। আদিবাসীরা সবাই সমস্বরে আদিবাসী বলে দাবী উত্থাপন করে, সাওতাঁল/গারো/চাকমা/হাজং আলাদা হিসেবে নয়। দেশে দলিতরা বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত। তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সারাবিশে^ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আলাদা সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি রীতিসিদ্ধ। বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রায় ৮%, যার মধ্যে ৪.৫% দলিত। বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে দলিত জনগোষ্ঠীর অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।”
Comments