সারাদেশ
কাটাখালী ট্রাজেডিতে বেঁচে যাওয়া একামাত্র যাত্রী পীরগঞ্জের পাভেলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ কাটাখালী ট্রাজেডিতে বেঁচে যাওয়া একামাত্র যাত্রী দ্বারিকাপাড়া গ্রামের মোখলেছুরের পুত্র পাভেলকে শনিবার সকালে ৩৮ হাজার ১ শত ২০ টাকার চেক প্রদান করেন পাভেলের সহায়তা তহবিলের সভাপতি এডভোকেট কাজী লুমুম্বা লুমু।
গত বছর ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পীরগঞ্জের ১৭ জন নিহত হলেও বেঁচে যান একমাত্র পাভেল ইসলাম। দুর্ঘটনায় পাভেলের বাবা মোখলেছার রহমান ও মা পারভীন বেগমও নিহত হন। আহত পাভেলকে অচেতন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসার সুবিধার্থে পাভেলকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে ও পরে নিউরো সার্জারি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। ৬১ দিন অচেতন থাকার পর ২২ মে’২০২১ এ বিভাগেই পাভেলের জ্ঞান ফেরে।
পাভেলের চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জে একটি চিকিৎসা সহায়তা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী লুমুম্বা লুমু। ওই কমিটির সভাপতি কাজী লুমু বলেন, পাভেল সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। পাভেলের জন্য আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা পাভেলের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার তহবিল গঠন হয়, পাভেলের চিকিৎসার পর শনিবার সকালে আব্দুল মান্নান মন্ডল বাচ্চুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৮ হাজার ১ শত ২০ টাকার চেক প্রদাণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মান্নান মন্ডল বাচ্চু, কাজী লুমুম্বা লুমু, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজের উপাধ্যাক্ষ শহিদুল ইসলাম পাশা, মোনায়েম সরকার, পাভেলের চাচা রফিকুল ইসলাম ও ফুফু।
জানা গেছে, গত বছর ২৬ মার্চ সকালে একটি মাইক্রোবাসযোগে পীরগঞ্জের ১৮ জন রাজশাহীতে পিকনিকে যায়। বেলা ২টার দিকে তাঁরা কাটাখালি থানার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ১৭ জন নিহত হন। বেঁচে যান পাভেল। তাঁর বাড়ি পীরগঞ্জের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামে।
ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মহজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পরিবারের ফুল মিয়া (৪০), স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল মিয়া (১৫), মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও ছোট মেয়ে সাজিদা (৩) ; দুরামিঠিপুর ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর গ্রামের সাইদুর রহমান (৪৫), চৈত্রকোল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের সালাউদ্দিন (৩৯), স্ত্রী শামছুন্নাহার (৩২), শ্যালিকা কামরুন্নাহার বেগম (২৫), ছেলে সাজিদ (১০) ও মেয়ে সাবাহ খাতুন (৩) ; পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রজাপাড়ার মোটর সাইকেল মেকার তাজুল ইসলাম ভুট্টো (৪০), স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন (১৪) ; রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের মোকলেছার রহমান (৪০), স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) এবং মাইক্রোবাস চালক পৌরসভার পঁচাকান্দর গ্রামের হানিফ মিয়া ওরফে পঁচা (৩০)
Comments