খেলা
দুর্দান্ত খেলে জিতলো রোনালদোর পর্তুগাল

আক্রমন প্রতি আক্রেমনের খেলায় রোনালদোর রেকর্ডে র দিনে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিল পর্তুগিজরা। যেনো জমে উঠে পুরো মাঠ। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে এসে গালের দেখা পায় দুদলই। একদিকে রোনলদো গোল দেয় তো এরপরই অন্যদিকে আন্দ্রে আয়ার তা পরিশোধ করে কেরায় ফিরে।
কাতার বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মাঠে নামে পর্তুগাল ও ঘানা। স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ ম্যাচটি শুরু হয়।
কাতার বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মাঠে নামে পর্তুগাল ও ঘানা। স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এর ঠিক ৭৩ মিনিটে ঘানা এক গোল পরিশোধ করলে ১-১ এ সমতায় ফিরে তারা। ঘানার হয়ে গোল করনে আন্দ্রে আয়ার।
এর আগে পর্তুগাল আক্রমনে গেলে ডি-বক্সের ভিতর ঘানার ডিফেন্ডার অবৈধ টেকল করলে পেনাল্টি পায় পর্তুগিজরা। এ সময় রোনালদো পেনাল্টি কিক নেন। তার গোলেই ১-০ তে এগিয়ে আছে পর্তুগাল।
খেলার শুরুতেই একেরপর এক আক্রমণে ঘানাকে ব্যাতিব্যস্ত করে রাখে রোনালদোর পর্তুগাল। শুরু ২ মিনিটেই আসে সহজ সুযোগ। ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও সে বল জালে পাঠাতে পারেন নি রোনালদো।
এর ঠিক কয়েক মিনিট পরে আবারো তার কাছে সুযোগ আসে। কিন্তু কর্নার সাইট থেকে উঠে আসা বল সেই রোনালদোই চোট ডি বক্সের ভিতর থেকে হেড করেন। কিন্তু দিকভ্রস্ট হেডে বল আবারো জালের বাইরে পাঠান তিনি। তারপরও কয়েকটা আক্রমে যায় দুদলই । কিন্তু কজের কাজ কেউই করতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তেই শেষ করলো দু’দল।
বিশ্ব ফুটবলে পর্তুগাল আইকনিক একটি দল হলেও এ পর্যন্ত কেবল দুইবার তারা সেমিফাইনাল খেলতে পেরেছে। তার মধ্যে ১৯৬৬ সালে প্রথম এবং ২০০৬ সালে সবশেষ। এরপর গেল পাঁচ আসরে কখনোই তারা শেষ ষোলোর গণ্ডি পেরুতে পারেনি।
এই সময়ে বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সও খুব উল্লেখযোগ্য নয়। সবশেষ ১১ ম্যাচে তারা জিতেছে মাত্র ৩টিতে। এছাড়া বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ তিন প্রথম ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি ফার্নান্দো সান্তোসের দল। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তারা ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ঘানার মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগাল।
অপরদিকে ঘানা অবশ্য বেশ সমীহ আদায় করে নেয়ার মতো পারফরম্যান্স করছে। সবশেষ আট ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে তারা। সাতটিতেই ছিল ক্লিন শিট। আট ম্যাচে গোল হজম করেছে মাত্র ২টি। ২০১৮ বিশ্বকাপে তারা খেলতে না পারলেও এবার দারুণ কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে তারা।
ঘানা অবশ্য পর্তুগালের অচেনা প্রতিপক্ষ নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে তাদের দেখা হয়েছিল। সেবার রোনালদোরা জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। আজ আবারও জয়ের শিরোনাম লিখতেই মাঠে নামবে পর্তুগীজরা।
Comments