খেলা

ফ্রান্সকে হারিয়ে তিউনিশিয়ার অঘটন, তবুও বিদায়

তিউনিশিয়ার সবাই আজকের রাত নিয়ে গল্প করতেই পারেন। বিশ্বকাপের মতো আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারানো তো সহজ কথা না। বিশেষ করে যারা গ্রুপ পর্বে আগের দুই ম্যাচেই জিতেছে প্রতাপের সঙ্গে, তাদেরকে হারানোর ব্যাপারটা তো আফ্রিকার দেশটির কাছে স্বপ্নের মতোই।
দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে সেই স্বপ্নই পূরণ করেছে তিউনিশিয়া। কাতার বিশ্বকাপে ডি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। যদিও আফসোস নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়াহবি খাজরির দল। কারণ ইতিহাস লিখেও যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারেনি তারা।
অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ককে হারিয়ে ডি গ্রুপ থেকে শেষ ১৬ আগেই নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। আজকের জয়ে তিউনিশিয়ার সংগ্রহ চার পয়েন্ট। একই সময়ে অনুষ্ঠিত অন্য ম্যাচে ডেনমার্ককে হারিয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া।
আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে নির্ভার হয়েই মাঠে নামে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। অন্যদিকে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে তিউনিশিয়া। ম্যাচের ৩৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও গোলের জন্য ছয়টি শট নেয় তারা। এর মাঝে তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা ফ্রান্স তিউনিশিয়ার গোলমুখে ১০টি শট নেয়। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চারটি শট লক্ষ্যে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি তারা। আজ খর্বশক্তির দল নিয়ে নামা ফরাসিরা ম্যাচে তেমন বড় কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি।
ম্যাচের একদম শুরুতেই ভীতি ছড়িয়েছিল তিউনিশিয়া। ম্যাচের ৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান দলটির মিডফিল্ডার নাদের ঘান্দ্রি। তবে আনন্দ উদযাপনের আগেই রেফারি জানিয়ে দেয়, সেটি অফ সাইড ছিল।
বাকি থাকা সময়ে আরো কয়েকবার আক্রমণে ওঠে তিউনিশিয়া। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বেশ চাপে রাখলেও গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আসে তিউনিশিয়ার গর্বের সেই মুহূর্ত। এই সময়ে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় অনবদ্য এক গোল করে দেশকে আনন্দে ভাসান তিউনিশিয়ার ওয়াহবি খাজরি। তার গোলের পর আরো বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও সেটি গোলে রুপান্তর করতে পারেনি তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়রা।
অন্যদিকে গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরতে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে ফ্রান্স। কিন্তু এমবাপ্পে, দেম্বেলের কেউই সাফল্যের দেখা পাননি। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গ্রিজম্যান গোল করলেও তিনি অফ সাইডে থাকায় সেটি বাতিল হয়।
ফলে রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মাতে তিউনিশিয়া। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে না পারলেও ফ্রান্সকে হারানোর আনন্দ যে কোনো অংশেই কম না তাদের জন্য।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments