জাতীয়

স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা-র সাক্ষাৎ

ঢাকাঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি-র সাথে আজ তাঁর সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ-ভারত সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, দুইদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্বালানিক্ষেত্রে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন সরকার প্রধান শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শিক নেতৃত্বই দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভীত স্থাপন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় ও সকল রকম সহযোগিতা দেয় ভারত, যা এদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি, ভারতের সাথে স্থল সীমানা চুক্তি ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতা দুদেশের সম্পর্ককে জোরদার করবে। এসময়, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের সময়ে জ্বালানিক্ষেত্রে ও রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন স্পীকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের ভাষা-সংস্কৃতিভিত্তিক সাদৃশ্য উল্লেখযোগ্য। সাধারণ নদী অববাহিকাসহ আরো অনেক সাধারণ বিষয় দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান। সেভেন সিস্টারস রাজ্যসমূহসহ সমগ্র ভারতের সাথে রেলওয়ে ও অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দ্বারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অগ্রগতি সম্ভব। সম্প্রতি আসাম বিধানসভার স্পীকার শ্রী বিশ্বজিৎ দাইমারি-র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন, যা ভারত-বাংলাদেশ সুদীর্ঘ সম্পর্ককে জোরদার করেছে। এসময়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ভারত লোকসভার স্পীকার ওম বিরলাসহ অন্যান্যদের আমন্ত্রণের আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ। দুইদেশের সাংস্কৃতিক ভীত একই। সংসদীয় প্রতিনিধিদলের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হতে পারে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে মোকাবেলা করতে পারলে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments