খেলা

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

ইংল্যান্ডের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পেনাল্টি মিসের যন্ত্রনায় ‘দগ্ধ’ হয়ে কাল মাঠ ছেড়েছে হ্যারি কেন। তার এ ব্যর্থতার কারণেই গতকাল অনুষ্ঠিত কাতার বিশ্ব কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে ইংল্যান্ড।
আল- বায়াত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ইংলিশ অধিনায়ক। অথচ ওই গোলটি করতে পারলে ২-২ গোলের সমতায় ফিরতে পারতো ইংল্যান্ড। ফলে শেষ চারের জন্য আরো কিছুটা লড়াই করার সুযোগ আসতো।

এটি ছিল কয়েক দশক ধরে চলা ইংল্যান্ডের সাইকোড্রামার আরেকটি নিষ্ঠুর অধ্যায়, যেটি বড় টুর্নামেন্ট ও পেনাল্টি ভীতিতে আবর্তিত। এর আগে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন কেন। ওই গোলের সুবাদে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়েন রুনির সমান ৫৩ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

খেলা শেষে কেন বলেন, অধিনায়ক হিসেবে সব দায়িত্ব আমিই কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম। সুতরাং পেনাল্টি মিস করাটা আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন একটি বিষয়। কঠিন একটি রাত কাটাতে হবে। আমি হতাশ, দল ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের বিশ্বাস ছিল এই বিশ্বকাপে আমরা বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারব। তবে সেটি শেষ হয়ে গেছে। ঐ রাতে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল। সেরা স্পেলে ছিলাম। কিন্তু সেটি বাস্তবায়নের সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে গেল।

বিশ্ব ফুটবলে সেরা পেনাল্টি নেয়া খেলোয়াড়দের একজন হচ্ছেন ২৯ বছর বয়সি কেন, যিনি এ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারে পেনাল্টি থেকে ৫৮টি গোল করেছেন। আর মিস করেছেন মাত্র ১১টি।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন, নিজ ক্লাব টটেনহ্যাম সতীর্থ ফরাসি গোল রক্ষক হুগো লোরিসের বিপক্ষে গোল করতে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসি ছিলেন তিনি।

বলেন, আমি এমন একজন খেলোয়াড় যে সব সময় এক বা দুটি পেনাল্টি নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকি এবং সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। যে কারণে আমার প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি বা ত্রুটি থাকতে পারে না।  

দ্বিতীয় শট নেয়ার আগে আমি প্রথমটির মতো আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমি ব্যর্থ হয়েছি। এটি অবশ্যই আমাকে আহত করেছে এবং সম্ভবত দীর্ঘ সময় এর যন্ত্রনা বইয়ে বেড়াতে হবে। তবে এটি একটি দলের নেতা বা নেতৃত্বের অংশ, যে দায়ভার আপনাকে নিতেই হবে।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর কেনকে ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায় এবং তার কয়েকজন সতীর্থ তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও কেনের সমর্থনে এগিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, এমন কেউ নেই, যারা এমন পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে পড়ে না। আমরাও যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তাম তাহলে একই রকম অনুভব করতাম। আমার দৃস্টিতে এই গ্রুপের জন্য তিনি (কেন) দারুন এক নেতা। তিনিই সেরা। তবে এই মুহূর্তে সাফল্যের হার ৮৫ শতাংশ। সুতরাং সেরারাও মাঝেমধ্যে এমন মিস করেন যে কারণে এটিকে ফুটবল বলা হয়।

ইংলিশ কোচ বলেন, তবে এটি তার জন্য নিষ্ঠুর, কারণ ব্যর্থতার জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করছেন এবং হাতাশবোধ করছেন। তবে এটি উচিৎ নয়, কারণ শত মিনিটের ফুটবলে জয়ের পথে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments