পর্ন ভিডিওর লাইভ স্ট্রিমিং, নারীসহ গ্রেফতার ৬
সরকার দেশে সব পর্ন সাইট বন্ধ করলেও থেমে নেই সাইবার অপরাধীরা। নিত্যনতুন কৌশলের অংশ হিসেবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লাইভ পর্ন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করছে তারা। এ সম্পর্কিত নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে অনলাইন পর্ন ব্যবসায়ের মূল হোতা আবু মুসা ইমরান আহমেদ ওরফে সানি ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি।
বুধবার রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১১টি মুঠোফোন, ১৭টি সিম কার্ড, ২টি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাকিরা হলো- মো. আবু শামা, ফাতেমা আক্তার, শায়লা আক্তার, শাহ আরমান ও মো. সেলিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অপরাধপ্রবণতা নিরসনে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক ভিডিও লাইভ প্ল্যাটফর্ম টপ ক্লাস এন্টারটেইনমেন্টের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘ড্রিম লাইভের’ অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারে। ব্যাপক অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে ঐ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সাইটটির মূল হোতা আবু মুসা ইমরান আহমেদ সানি ও তার সহযোগীদের শনাক্ত করা হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত আবু মুসা সারাদেশে ১২০টির বেশি এজেন্সির মাধ্যমে ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং সাইটটি পরিচালনা করছিল। তার অন্য সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশে অননুমোদিত ভার্চুয়াল ডায়মন্ড ও ভার্চুয়াল গেম কয়েন ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তার ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পর্যালোচনায় গত ৩ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু মুসা জানিয়েছে- তারা পরস্পর যোগসাজশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লাইভ পর্ন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট পরিচালনা করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অবৈধভাবে তা পাচার করে আসছিল। আবু মুসা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
Comments