খেলা

বিশ্বকাপের নকআউটে সর্বোচ্চ গোল করা পাঁচ ফুটবলার

ফুটবল বিশ্বকাপ আসলেই শুরু হয়ে যায় কে কতোটা গোল করলো সে হিসেব। কিন্তু কে কতোটা পায়ের জাদু দেখিয়ে দুচোখে প্রশান্তি আনতে পারে, সে হিসেবের খাতা নিয়েও আলোচনা হয় ঢের। সেসব গোল নিয়ে লেখা যায় অজস্র গল্প।
আজ আমরা তেমন পাঁচজনের দিকে চোখ রাখবো, যারা বিশ্বকাপের এক আসরে নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন।

রোনালদো (ব্রাজিল)

ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে একচেটিয়াভাবে পুরো আসরে রাজত্ব করেছিলেন একজন ব্যক্তি। তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও ডি লিমা। যিনি শুধু সেই আসরে গোলই করেননি। পায়ের জাদুতে প্রতিপক্ষকে ছিটকে দিয়ে দেখিয়েছেন ঝলক।

সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই গোল করেছেন রোনালদো। নকআউট পর্বে চার গোল করে ইভেন্টে আধিপত্য বিস্তার করেন রোনালদো। ফাইনালে রোনালদোর জোড়া গোলেই জার্মানদের ২-০ গোলে পরাজিত করে ষষ্ঠবারের মতো ট্রফিটি জিতে নেয় ব্রাজিল।

গার্ড মুলার (জার্মানি)

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে একসময় সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটার মালিক ছিলেন জার্মান তারকা গার্ড মুলার। বর্তমানে ১৪ গোল নিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনি। ১৯৭৪ সালে একক নৈপূণ্যে তিনি জার্মানিকে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন।

সেবার ফাইনালে তারা জোহান ক্রুইফের নেদারল্যান্ডসকে পরাজিত করেছিল। যার সঙ্গে তিনি ম্যাচ জয়ী গোল করেছিলেন। যদিও তার সবচেয়ে ফলপ্রসূ টুর্নামেন্ট ছিল ১৯৭০ বিশ্বকাপ। সেবার তিনি ১০ গোল করেছিলেন।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে দলকে একাই টেনে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু শিরোপা তুলতে পারেননি। কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ২২তম আসরেও একই দৃশ্য। মেসির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফির দিকে তাকিয়ে আর্জেন্টিনা।

কাতারে দলকে ফাইনালে নেয়ার পথে একাধিক রেকর্ড ছাড়িয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। নকআউট পর্বে তার গোল তিনটি এবং দুটি অ্যাসিস্ট। যা আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।

পাওলো রসি (ইতালি)

ক্লাব পর্যায়ে ভয়ঙ্কর ড্রিবলিংয়ের প্রদর্শন এবং মাঠের চারপাশে ঘোরাফেরা করায় রসিকে অনেকে ভূত হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালি আগের আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল। পরের ম্যাচে আরেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হয় ইতালি। সেই ম্যাচে রসির হ্যাটট্রিকে ভর করে ইতালি সেমিফাইনালে চলে যায়।

সেমিফাইনালেও রসি আরো একবার তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন। জোড়া গোলে ইতালিকে ফাইনালে নিয়ে যান। সেবার জার্মানিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ইতালি। তিনটি গোলের একটিতে রসির অবদান ছিলো। তিনি নকআউটে মোট ৬ গোল করেছিলেন।

মারিও কেম্পেস (আর্জেন্টিনা)

মারিও কেম্পেস একাই বলতে গেলে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। সেবার গোল্ডেন বুটের পাশাপাশি গোল্ডেন বলও জিতেছিলেন তিনি। নকআউট খেলায় তিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি, পেরুর দুটি এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে দুটি করে মোট ৬ গোল করেছিলেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments