September 16, 2024
জাতীয়

বিশ্বসেরা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন--স্পীকার

ঢাকা:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৭২ সালে বিশ্বসেরা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর মাত্র ১০ মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের পুরোপুরি প্রতিফলন রয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, নারী-পুরুষ সমানাধিকার, শিশুদের অধিকার, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়নসহ সবকিছুই সন্নিবেশিত আছে বাংলাদেশের সংবিধানে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর উদ্যোগে আজ রাজধানীর বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত 'হিউম্যান রাইটস ইন দ্যা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরিঃ রেটরিক এন্ড রিয়েলিটি' শীর্ষক হাইব্রিড সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।

স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংরক্ষণে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে তাদের নিজ দেশে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক সংগ্রাম করেছেন। এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয় এবং সে অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে শক্তিশালী করতে কমিশনের জনবল ও বাজেট বরাদ্দ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের বসবাসের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থায় মানবাধিকারের ক্ষেত্রটি বৈচিত্র্যময় ও সুবিস্তৃত হয়েছে। মানবাধিকারের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত, যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। জন্মের পর থেকেই মানুষ মানবাধিকারগুলো অর্জন করে থাকে। প্রতিটি দেশের সরকারের দায়িত্ব মানবাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, টেকসই সামাজিক উন্নয়ন, মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক শান্তি নীতি মেনে চলার মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা যাবে।

বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান এম্বাসেডর কাজী ইমতিয়াজ হোসাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে আরমা দত্ত এমপি, সিনিয়র হিউম্যান রাইটস এডভাইজর হুমা খান, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও ইউএনএইচসিআর-এর সিনিয়র প্রটোকল অফিসার সুভাষ ওস্টি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments