সারাদেশ
বন বিভাগের ভবানীপুর বিটের ৮০ একর জমির গাছের মুড়া অবৈধ্য ভাবে বিক্রি॥
ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির বনবিভাগের ভবানীপুর বিটের ৮০ একর জমির গাছের মুড়া অবৈধ্যভাবে বিক্রি, দেখার কেউ নেই।
চলতি বছর মধ্যপাড়া রেঞ্জের আওতায় ভবাবীপুর বিটের শেরপুর, দুধিপুর, রাম রায়পুর, রাম রায়পুর ও মহেশপুর বনভিবাগের জমিতে লাগানো আকাশমনি (পুরু) গাছ গুলি বনবিভাগ থেকে টেন্ডার দিয়ে বনবিভাগ বিক্রি করেন। টেন্ডার গ্রহিতা ঠিকাদার গাছগুলি কেটে নিয়ে যায়। এর পর গাছের মুড়াগুলি ভবানিপুর বিট কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ ও গার্ড রেজাউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার কাট ব্যবসায়ী মোঃ তাজেল এর নিকট রামরায়পুর এর ১০ একর জমির গাছের মুড়া ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে, দুধিপুর ৪০ একর জমির মুড়া সুমান এর নিকট ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। রামরায়পুর ৪ একর জমির মুড়া ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এছাড়া পরিবহন ব্যয় দেখানো হয় ১৩ শত সেফটি কাট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রতি সেফটি ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়। ভবানিপুর বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে বলেন, বিট কর্মকর্তা প্রভাবশালীদের নিকট থেকে উৎকোচের বিনিময়ে উপকারভোগী সদস্য তৈরি করে। মুলত তারাই বন বিভাগের সুবিধা নিচ্ছে। এলাকার নি¤œ শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষদের উপকার ভোগী সদস্যর তালিকায় নাম দিচ্ছেনা। যারা উৎকোচ দিচ্ছে তাদেরকে উপকার ভোগী বানানো হচ্ছে। একই বাড়ীতে ৪-৫ জন পর্যন্ত উপকার ভোগী সদস্য বানানো হয়েছে। যাদের অনেকে প্রভাবশালী। ভবানীপুর বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ গত ৪ বছর ধরে বন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে। তার বদলি হয় না। এখানে তিনি রামরাজ্য কায়েম করছে। গত কয়েক বছর আগে ভয়াবহ ঝড়ে শাল বাগানের ভেঙ্গে যাওয়া বহু গাছ চোরাইভাবে বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান ঐ এলাকার বিক্রি হওয়া গাছের মুড়াগুলি এলাকার গরীব লোকজন তুলে বিক্রি করে জীবন জিবীকা নির্বাহ করতে পারত কিন্তু বিট কর্মকর্তা তা বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন গরিব দুঃখি মানুষের সেই অর্থ। এ বিষয়ে ভবানিপুর বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ এর সাথে তার মোবাইল ০১৭৬৪০০১৭২৫ নম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি কোন বন বিভাগের গাছের মুড়া বিক্রি করি নি। এবং কাউকে মুড়া তুলতে বলি নি। অথচ বন বিভাগের জঙ্গলে ঘর তৈরি করে ঠিকাদারের লোকজন দেধারছে গাছের মুড়া তুলছেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বনবিভাগের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments