জাতীয়
বন অধিদপ্তরে অনিয়ম,তদন্তে সাংসদীয় কমিটি
বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও পদায়নে অর্থনৈতিক লেনদেন ও অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা এসব বিষয় তদন্ত করবে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ ও খোদেজা নাসরিন।
বৈঠক শেষে সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন- বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, বদলি, পদায়নে আর্থিক লেনদেন এবং প্রভাবশালীদের তদবিরের অভিযোগ রয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি স্তর থেকে আরেকটি স্তরে যেতে নূ্যনতম একটি সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট পদে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেকের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়নি। কমিটি এ ধরনের ১৫-১৬টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সাধারণত কমিটি কারও বেনামি চিঠি গ্রহণ করে না। তবে যদি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হয়, তথ্য সঠিক হয় তাহলে কমিটি এ ধরনের চিঠিও আমলে নেবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অর্থনৈতিক মূল্য নিরূপণে (সিস্টেম অব এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং) কাজ শুরু হচ্ছে। ইউএনডিপির সঙ্গে বিবিএস যৌথভাবে এই কাজ করবে। প্রতিবছর দেশে আড়াই শতাংশ বন উজাড় হচ্ছে, এর অর্থনৈতিক মূল্য কত? সুন্দরবন অনেক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কমিয়ে দেয়, সেটার মূল্য, সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণের যে অর্থনৈতিক মূল্য, এখান থেকে মানুষ মাছ, মধু আহরণ করে এসবের মূল্য- সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বের করা হবে। পরে সেটা জিডিপির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। আবার জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের যে ক্ষতি, তার মূল্যমানও জানা যাবে।
সূত্র জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর ১৯টি ট্যানারি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আজ কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, পাঁচটি ট্যানারি বন্ধ করা হয়েছে। বাকি ট্যানারিগুলো দ্রুত বন্ধ করতে বলেছে কমিটি। এর আগে কমিটি সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলের তালিকা চেয়েছিল। মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানায়, এ ধরনের ১৬৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তবে প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কমিটি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃৃত মালিক কারা, এর পেছনে মদদদাতাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছে।
Comments