জাতীয়

প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের ৮টি বিভাগেই শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা করবে। এরই মধ্যে ৪/৫টি বিভাগে নভোথিয়েটার স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।

ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। কাজেই যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন আপনাদেরকেও সর্বোচ্চ শ্রম এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ, আমরা চাই দক্ষ মানব শক্তি গড়ে তুলতে।

শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কাজেই এই কৃষিকে যেমন যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উন্নত করতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়নও আমাদের দরকার।

৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। তার জন্য উপযুক্ত দক্ষ মানব শক্তিও আমাদের গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আপনাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষ যেন আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পায়, সেটাই আমরা চাই। আপনাদের উদ্ভাবনী জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ যেন মানুষের কল্যাণে হয়। কাজেই যারা আজকে গবেষণা করছেন সেই গবেষণার কী ফলাফল হলো- সেটাও আমি দেখতে চাই। আমি মনে করি এই মেধাকে কাজে লাগিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এমইএস, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রদান করছে। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ২২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এমইএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে সরকার এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ২২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রদান করেছে।

ফেলোশিপের পাশাপাশি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে বিশেষ অনুদান প্রদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ৫ হাজার ২০টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা প্রদান করেছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে মনোনিবেশ করতে হবে। কীভাবে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সেদিকেই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আর সেজন্য সবাই অন্তত কিছুটা হলেও যেন প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ এবং ‘বিশেষ গবেষণা অনুদান’ প্রদান করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান স্বাগত বক্তৃতা করেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments