কৃষি

দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলায় বোরো বীজতলা নষ্টের উপক্রম॥

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। জেলার বেশির ভাগ বীজতলার চারা হলুদ ও লালচে রঙ ধারণ করে মরে যাচ্ছে। এতে বোরো বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, শৈত্যপ্রবাহ স্থায়ী না হলে ও সঠিক পরিচর্যা করলে বীজতলা ক্ষতির তেমন শঙ্কা নেই।দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবার ৯ হাজার ৪৩৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের মাতাসাগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত বীজতলার চারা হলুদ ও লালচে রঙ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষক বলছেন, প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বীজতলা শীতে কুঁকড়ে গেছে। এমন আবহাওয়া যদি আরো কয়েকদিন থাকে তাহলে নতুন করে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের। এ অবস্থায় বোরো ধান রোপণ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।জেলার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার পৌষ মাসে শীত বেশি পড়েছে। শীতের কারণে বীজতলাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা বীজতলায় স্প্রে করছি, বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না। এখন বীজতলার অবস্থা খুবই খারাপ। শীত বাড়লে সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, বর্তমানে যে অবস্থায় আছে শৈতপ্রবাহ স্থায়ী না হলে বীজতলার খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। আর ঘন কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে হলে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। সকালে কাপড় দিয়ে বা দড়ি টেনে জমে থাকা কুয়াশাকে মাটিতে ফেলে দিতে হবে। আর যদি একদমই রোদ না ওঠে বীজতলায় কিছুটা পানি ধরে রাখলে সুফল পাওয়া যাবে। আর এ বিরূপ পরিস্থিতির কারণে কৃষক যদি অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাহলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করব।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments