সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
২১ জানুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল ৪টায় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে আলোচনাসভা ও প্রাক্তন-বর্তমান পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস প্রমুখ। বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ৩৯ বছর আগে ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার একই পদ্ধতির গণতান্ত্রিক শিক্ষার দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এই দিনটি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন দিন। যে দাবি প্রতিষ্ঠালগ্নে ছাত্র ফ্রন্ট করেছিল, সেই দাবি উত্থাপিত হয়েছিল ছাত্র সমাজের রক্তের বিনিময়ে। এই দাবি দেশের আপামর জনতার প্রাণের দাবি। এই দাবির ভিত্তিতেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে প্রত্যেক সরকারই তার বিপরীত নীতিতে হেঁটেছে।
তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন বই নিয়ে সরকারের বাগরম্বরের অন্ত নেই। কিন্তু প্রকৃত চিত্র খুবই করুণ। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ পাঠ্যপুস্তক ছাপাও হয়নি। আর তড়িঘড়ি করে যে কতক বই ছাপানো হয়েছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের, ভুল তথ্যে ভরা। অথচ এমন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত, কারোর বিরুদ্ধেই কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত সরকার নেয়নি।
ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শাসকশ্রেণীর মিনিক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা নিয়ে সরকারের বাণিজ্যিকীকরণ, কারিগরিকরণ এর চক্রান্ত যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, তাই সরকার দলের ছাত্র সংগঠন লাঠিয়াল বাহিনী এবং নতজানু প্রশাসনের স্বৈরতন্ত্র দিয়ে ভিন্ন মত দমন করা হচ্ছে। ভিন্ন মত পোষণ করলে তাকে হল থেকে মেরে বের করে দেওয়া হয়। তোষামোদি না করলে যখন ইচ্ছা তখন মারপিট করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আজ তাই ছাত্র সমাজকে শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতে হবে, একইসাথে চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
Comments