জাতীয়

অচিরেই গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব - স্পিকার

অচিরেই গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পাক হানাদার বাহিনীর সেদিনের আক্রমণ ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতির ওপর আক্রমণ অবশ্যই গণহত্যা।

শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২৫ মার্চ ১৯৭১ প্রতিরোধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন কমিটি আয়োজিত ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

স্পিকার বলেন, ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতের খণ্ড খণ্ড তথ্যগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তথ্য সংগ্রহ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ে ছিলেন আপোষহীন। মহান নেতার আপোষহীন নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীনতা। এ সময় তিনি জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবসের রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

২৫ মার্চ কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন কমিটির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ ও গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments