সারাদেশ

আটকে আছে ঘাঘট লেক প্রকল্পের কাজ, দুর্ভোগ চরমে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধা শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদী লুপ কাটিংয়ের ফলে নদীর ৩ কিলোমিটার অংশ খালে পরিণত হয়। খালটি পরিত্যক্ত পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটিকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ৬ বছর আগে ঘাঘট উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও আজও শেষ হয়নি কাজ। অজ্ঞাত কারণে কাজটি আটকে থাকায় খালের দুই পাশে বসবাস করা সহস্রাধিক মানুষ দখল ও দূষণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জানা যায়, পুরাতন ওই ঘাঘট নদীর (বর্তমানে খাল) তীরে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, পোস্ট অফিস, স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, আনসার ও ভিডিপি অফিস, এসিল্যান্ড অফিস, পুরাতন বাজারসহ সাধারণ মানুষের হাজার হাজার ঘরবাড়ি অবস্থিত। নদী লুপ কাটিং করে শহর থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ায় খালে পরিণত হওয়া নদীটি গত তিন দশকে ভাগাড়ের রূপ নিয়েছে। একদিকে ময়লা আবর্জনা ফেলে যেমন এটিকে দূষিত করা হচ্ছে তেমনি পুরো খাল কচুরি পানায় ভরে গেছে। আবার দুই পারে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনাও গড়ে উঠেছে।এদিকে, ঘাঘট লেকটিকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। ফলে ২০১৭ সালে এটির উন্নয়নের জন্য ২৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রকল্পের আওতায় খালের ওপর ৫৪ ও ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি ব্রিজ, সংযোগ সড়ক, একটি ওয়াশ ব্লক, ২০টি বসার বেঞ্চ, ৪টি ঘাট, উভয়পাড়ে ছয় ফুট করে ফুটপাত, দুটি স্লুইস গেট, আবর্জনার ডাম্পিং স্টেশন, সিসি ব্লক দিয়ে নদীর স্লোপ প্রটেকশন, তলদেশের মাটি কাটা এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। গত ছয় বছরে এই প্রকল্পের ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। থেমে আছে দুটি ব্রিজ, ডাম্পিং স্টেশন, স্লোপ প্রটেকশন ও ফুটপাত নির্মাণসহ আরও কিছু কাজ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিত্যক্ত থাকায় পুরো খাল কচুরিপানায় ভরে গেছে। সেখানে মশামাছি পোকামাকড়ের বাস গড়ে উঠেছে। মানুষ যে যার মতো ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পুরাতন বাজার এলাকায় বাজারের ময়লা বর্জ্য যেমন ফেলা হচ্ছে তেমনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মল মূত্রও এসে পড়ছে সেখানে। দুর্গন্ধে সেসব এলাকায় টেকা দায়।গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু বলেন, খালটি দুইপাড়ে গড়ে ওঠা সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা হলে প্রকল্পের সব কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। পুরাতন ব্রিজের ওপর দাঁড়ালে অবৈধ দখলদারদের দখল সবার চোখে পড়ে কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গাইবান্ধাবাসী একটি বিনোদনের ভালো স্থান পাবে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম বলেন, পূর্বের ঠিকাদারের স্থলে টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments