ডেস্কঃ আগামী ২ মার্চ’২৩ সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত ভবন পাদদেশে অবস্থিত গনহত্যা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আদালত অবমাননার প্রতিবাদে বিভাগীয় প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত উক্ত কর্মসূচীতে দেশপ্রেমিক সর্বস্তরের জনগনকে উপস্থিত থাকার জন্য পরিষদ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত এই প্রকল্পের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পরও আদালতের নির্দেশনা উপক্ষো করে বিগত ৯ বছরে চট্টগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন জেলা প্রশাসক অবৈধ দখলদার USTC কে উচ্ছেদ করে পাহাড়তলী বধ্যভূমি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আদালত অবমাননা করেই চলেছেন।

বিগত ৯ বছরে ৪জন জেলা প্রশাসক বিভিন্ন মেয়াদে চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্ব পালনকালে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করে অবৈধ দখলদার USTC এর প্রতি পক্ষপাতিত্ত্ব প্রদর্শণ করে চলেছেন।

তাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে আগামী ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখের মধ্যে যাতে চট্টগ্রামে নিযুক্ত বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য বরাদ্দকৃত ১.৭৫ একর জমি উদ্ধার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পান তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

USTC কর্তৃপক্ষ দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি হিসাবে স্বীকৃত চট্টগ্র্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত বর্ণিত বধ্যভূমির জমিতে ১ দশকেরও অধিক সময়কাল ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে আছে। যার প্রতিবাদে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের করা মামলায় রায় ৯ বছর আগে হলেও; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে চট্টগ্রামে নিযুক্ত জেলা প্রশাসকগণ আদালতের রায় কার্য্কর করছেন না কেন তা দেশপ্রেমিক জনগন জানতে চায়।

২ মার্চ সকাল ১০টায় লালদীঘির পাড় সংলগ্ন গণহত্যা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে ন্যায্য এই দাবির প্রতি একাত্ত্বতা প্রকাশ করার জন্য আয়োজকদের পক্ষে নাট্যজন মোস্তফা কামাল যাত্রা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন(আঙ্গুর)সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।