সারাদেশ
ফুলবাড়ীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বাড়ী নির্মাণ করতে প্রধান শিক্ষকের বাঁধা॥

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আলাদীপুর ইউপির রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় তারিনী চন্দ্র রায় তার নিজ জমিতে বাড়ী নির্মাণ করতে গেলে রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ একরামুল হক বাধা প্রদান করেন। ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা এলাকার পশ্চিম কাঁটাবাড়ী গ্রামের মৃত সতীশ চন্দ্র রায়ের পুত্র তারিনী চন্দ্র রায় এর অভিযোগে জানা যায়, তিনি ৪৫নং রাঙ্গামাটি মৌজার ১১৫ খতিয়ানভূক্ত ২০৮ দাগে ২ একর ৪ শতাংশ এর মধ্যে ৪ শতক জমি শ্রী ঠাকুর দাস নামে এস.এ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। উক্ত জমির মালিক আলাদীপুর ইউপির সুরেন্দ্রনাথ এর পুত্র মনমত রায় ও নারায়ন চন্দ্র রায় তারা ২ ভাই। এই দুই ভাইয়ের নিকট থেকে গত ০৪/১২/২০২২ইং তারিখে কবলা দলিল মূলে রেজি: করেন। যাহার দলিল নং-৫৩৬৩, তারিখ-০৪/১২/২০২২ইং। উক্ত জমি ক্রয় করার পর সেখানে তারিনী চন্দ্র রায় বাড়ী নির্মাণ করতে গেলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ একরামুল হক বলেন উক্ত জমি স্কুলের। প্রধান শিক্ষক এর নিকট কাজগপত্র চাইলে তিনি বলেন কাগজপত্র নেই। গত ২৪/০৩/২০২৩ইং তারিখে তারিনী চন্দ্র রায় জমিতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং জমি থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এই ঘটনায় গত ২৪/০৩/২০২৩ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ০৮/০২/২০২৩ ইং তারিখে সুষ্ঠ সমাধান চেয়ে তারিনী চন্দ্র রায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গত ৩০/০৩/২০২৩ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তারিনী চন্দ্র রায় উক্ত জমি নিজ নামে খাজনা খারিজ করেন। এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ একরামুল হক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত জমি বিদ্যালয়ের উক্ত জমির কাগজপত্র তাদের সঠিক নয়, তারা ভূয়া কগজ তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করেন। উক্ত জমি অন্যের বর্তমান ঐ জমি বিদ্যালয়ের আয়েত্বে রয়েছে। তারিনী চন্দ্র রায় কে মারপিটের ঘটনা সত্য নয়। এই ধরনে কোন ঘটনা সে দিন ঘটেনি।
তারিনী চন্দ্র রায় জানান, আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় আমার ক্রয়কৃত জমির বৈধ্য কাগজপত্র থাকার সত্ত্বেও তারা জমিতে উঠতে দিচ্ছে না ঐ শিক্ষক। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করছি।
Comments