প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশ যেকোনো বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ আমাদের পাশে থাকলে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারবো। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ এর সেরা উদাহরণ।

বুধবার পদ্মাসেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম কিস্তির চেক গ্রহণের সময় তিনি এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঋণ পরিশোধের প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রায় ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু নির্মাণে ঋণ স্থগিত এবং পরবর্তী সময়ে আরো কয়েকটি সংস্থা একই কাজ করায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ার পর তারা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন। অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী পদ্মাসেতু নির্মাণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে এ ঋণ নেয়া হয়।

গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের বৃহত্তম সেতু উদ্বোধন করেন।শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণে তার সরকারকে সার্বিক সমর্থন দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে জনগণ যেভাবে সমর্থন দিয়েছে তেমনি দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পুরো জাতি সরকারের সঙ্গে হাত মেলাবে।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের পাশে থাকলে দুর্যোগের মতো যেকোনো বাধা অতিক্রম করে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রধান শক্তি জনগণ। আমাদের অটুট সমর্থন দিয়ে (বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করে) অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছি এবং বৈশ্বিক মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছি। পদ্মাসেতু শুধু একটি সেতু নয়, বাঙালি জাতির গর্ব ও সামর্থের প্রতীক।

তিনি আরো বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য যে ঋণ নেয়া হয়েছে তা আমরা এখন টোল থেকে পরিশোধ করতে পারবো।

তবে এ সময় পদ্মাসেতুর মেয়াদ ১০০ বছরের বেশি হবে বলে আশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩৫ বছরে টোল থেকে এর নির্মাণ ব্যয় আহরণ করা সম্ভব হবে।