September 19, 2024
মুক্তমত

নৈতিকতা ও সহনশীলতার শিক্ষা বনাম সামজিক অবক্ষয়

সামাজিক মাধ্যম ও নেশার কোরাল গ্রাসে সমাজ ও পারিবারিক ব্যবস্থা আজ আশা শূণ্য ও নিরানন্দময় বাধন হারা । যুবসমাজ আজ ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য না করে, পরিশ্রম ও নিরবিচ্ছিন্ন চিন্তার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে না তুলে ভয়ানক ভাবে নেশা গ্রস্থ ।নেশা দ্রব্যের সহজ লভ্যতার জন্য যুবসমাজ আজ ছিমিয়ে পড়েছে, আমরা একটি বিকলাঙ্গ সমাজের দিকে অস্থির চিত্তে এগিযে যাচ্ছি । অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা ডিশ টিভি ও স্মার্ট ফোনের কল্যাণে সম্পূর্ণ বই বিমুখ হয়ে আদর্শহীন ভাবে বেড়ে উঠছে । সেই সাথে অভিভাবক অথবা রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে এই আত্মকেন্দ্রিক ও বিষাক্ততাকে মেনে নিযেছে । প্রতারনা ও মিথ্যা আজ সমাজ ও রাষ্ট্রের অপরিহার্য কর্মে পরিণত হযেছে, আর সকল স্তরে একটি অসস্তিতে মানুষ শুধু পরিবারকেন্দ্রিক ভাবছে, কিন্তু পরিবার যে সমাজের বাহিরে নয়, তাই সামজিক অসংগতি যখন পরিবারের আপন মানুষগুলোকে গ্রাস করে তখন একক ভাবে মানুষ চিৎকার করছে !  কিন্তু বিকৃত রুচি, মনুষ্যত্বহীন বিবেক এই দানবীয় অসভ্যতা ও কুকর্মের শাস্তি আমরা নিচ্ছিত করতে পারছি না । সম্পদ ও গৌরব লাভের আশায় সমাজ ও রাষ্ট্যের চরিত্রে যে অনৈতিকতা ও অসাধুতা চর্চা হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটি একটি অপ্রস্তুত ও অস্থির সামাজিক কাঠামো তৈরি করছে । আর এই হীনতার কারনে কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক অসামাজিকতা, অতি অর্থলোভী মালিকদের মানহীন পণ্য উৎপাদন, সরকারী অফিস গুলোতে উচচ বেতন নিয়েও অসভ্যের মত ঘুষের জন্য হাত উত্তোলন, রাজনীতিতে আদর্শহীন নেতার পিছনে হই-চই করে সমর্থন আজ সমাজ ব্যবস্থার করুন চিত্রকেই আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে, তবুও জাতির বিবেক আজ নির্বিকার ! দেশপ্রেমিক জনগণ আজ পূবর্বপুরুষের মহত্ত, সাধনা ও জীবন সংগ্রামের ইতিহাস মনে করতে ভয় পায়, কোন গণ আন্দোলন নেই, নেই কোন সৌচ্চার কন্ঠ, নেই গণমাধ্যমে সত্যের প্রতি কঠর উচ্চারন, সমাজে আজ জ্ঞানী - গুণী মানষের মনের চাপা কষ্ট গোঙ্গানীতে পরিনত হয়েছে ।  কিন্তু একটু খানি  মানব কল্যাণে কথা বিবেচনা করলে, মানুষ সাফল্যতা-সাফল্যতা করে আন্তকেন্দ্রিক হত না ।  মানুষ সামাজিক ও পারিবারিক বন্ডিং এর মধ্যে থেকে সার্থক্য মানুষ হিসেবে সকলকে নিয়ে সুখি হত । পাড়া-মহল্লা কেন্দ্রিক খেলাধুরা ও সংস্কৃতিক চর্চার জন্য মাঠ ও মঞ্চের ব্যবস্থা করতো । ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ন্যায় নিজেকে দৌড়ের উপর না রেখে জীবনকে উপভোগ করা জন্য দাম্ভিকতা পরিহার করতো । অযথা সম্পদের আস্ফলন করত না , স্বভাবে বিনয় ভাব নিয়ে মানুষের কল্রাণে ন্যায় আচরন করত । আজ আমরা যে ভ্রম ও অতিদানবী ভাবে অর্থ-কড়ি অর্জনের জ্ঞানহীন, কিছুটা উম্মাদ এবং অত্যাচারী । আর এই কারনে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সর্বনাশ ডেকে আনছি তা আমাদের বোধ্যগম্য না । দুবার্গক্রমে হতভাগা অভিভাবকের ন্যায় আমরা শুধু আফসোস করবো । প্রজন্ম  যখন ইন্দ্রিয় লালসা ও বর্বরতাকে নিজের উদ্দেশ্যে পরিনত করবে, তখন আমাদের কিছুই করার থাকবে না ? নৈতিকতা ও সহনশীলতার শিক্ষা অনুশীলন করি।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments