সারাদেশ

রংপুরে ৩দফা দাবিতে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সংহতি সমাবেশ

দী কারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী হেমন্তী রানী,সন্ত্রাসী টুটুলসহ আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারসহ ৩দফা দাবিতে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সংহতি সমাবেশ। অবিলম্বে সুদী কারববী হেমন্তী,সন্ত্রাসী টুটুলসহ আসামীদের গ্রেফতার, প্রশাসনিক দূর্বলতা দূর করে, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং প্রশাসনের একতরফা ভূমিকার প্রতিবাদে গতকাল ২৬ এপ্রিল ২০২৩,বুধবার সকাল ১১টায় হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন রংপুর এর উদ্যোগে কাচারীবাজারে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোরের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব সাজু বাসফোরের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীন রাজনীতিবিদ বাসদ(মার্কসবাদী) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু,বাসদ(মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু,হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের উপদেষ্টা লিটন বাসফোর,শোভরন বাসফোরসহ ভূক্তভোগীরা।নেতৃবৃন্দ বলেন রংপুর সদর হাসপাতাল হরিজন কলোনীতে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও সুদের ব্যবসার মধ্য দিয়ে হেমন্তি রানী তার বড় ছেলে টুটুল ও ছোট ছেলে তপনের আধিপত্যে কলোনির হরিজনরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে।সাম্প্রতিক ৪ এপ্রিল সকালে ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ স্বাধীন বাসফোর ও নয়ন বাসফোরের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পা ভেঙে দেয়। তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। থানায় মামলা করার পর আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। বরং ৮ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। জামিনযোগ্য ধারা হওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে বিচারক ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন।এখন তারা জেলে আছেন।এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে রংপুরের হরিজন জনগোষ্ঠী লড়ছি কিন্তু আমরা প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।এদিকে জামিন পেয়ে হেমন্তীর ছেলেসহ সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন ভূক্তভোগীদের কর্মস্থলে গিয়ে মারপিট করছে,ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।হেমন্তীসহ তার ছেলেরা কোর্টের অভ্যন্তরে আর এক সন্ত্রাসীর সহযোগী ললিতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।অবিলম্বে তাকে সেখান থেকে বের করে দিতে হবে এবং নিম্নে উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।নতুবা নির্যাতনের শিকার মানুষেরা ঘুরে দাঁড়ালে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে এবং তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। দাবিসমূহ: ১.আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাভাবে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে,তাই প্রশাসনিক দূর্বলতা দূর করে অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করতে হবে।কোর্ট চত্তরে অবস্থান নেয়া হেমন্তী,টুটুলকে কোর্টচত্তর এলাকা থেকে বের করে দিতে হবে। ২.কোন পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বিচার করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। ৩.এলাকাবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments