সারাদেশ

সাঘাটায় অর্থাভাবে খামার পরিচালনায় দিশেহারা কৈচরা গ্রামের সাবু মিয়া

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের কৈচরা গ্রামের মোঃ আঃ সালাম ব্যাপারীর পুত্র সাবু মিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও মৎস বিভাগ সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাসঁ মুরগী খামার করে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে খামারটিতে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরজমিনে গেলে প্রতিবেশী প্রভাষক মাহফুজার রহমান জানান, সাবু মিয়ার জীবন যাত্রার মানউন্নয়নে এবং আর্থিক লাভবানের আশায় দীর্ঘদিন থেকে হাসঁ মুরগীর খামারী হিসেবে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। কিন্তু করোনা কালীন সময়ে হাসঁ মুরগীর দাম কমে যাওয়ায় ও বাজারজাত করতে না পেরে তিনি ব্যাপক লোকসানে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এই ক্ষতিকে পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মৎস বিভাগের পরামর্শক্রমে খাচায় মৎস্য চাষ শুরু করলেও অর্থাভাবে হাসঁ-মুরগীর খামার চালাতে পারছেন না। এদিকে খামারি সাবু মিয়া জানান, আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা মোতাবেক প্রায় ১৫লক্ষ টাকা পুজি নিয়ে হাসঁ, সোনালী জাতের মুরগী ও ব্রয়লার মুরগীর খামার গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে করোনাকালীন সময়ে লকডাউন থাকায় সল্পমুল্যে ডিম ও হাসমুরগী বিক্রি করে আমি আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলাম। নিরুপায় হয়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বর্তমানে বাঙালী নদীতে খাচা পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মিশ্র চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন আমাকে আর্থিক সহায়তা অথবা সরকারি বেসরকারি ব্যাংক থেকে সুদ মুক্ত ঋণ দিলে আমি আবারো হাসমুরগীর খামার দিয়ে সাবলম্বী হতে পারবো ইনশাল্লাহ।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments