সারাদেশ

আলু,মরিচ,চিনিসহ বেশকিছু পণ্যের দাম উর্ধ্বমূখি

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ সরকার পন্যের দাম না বাড়ালেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম নিচ্ছেন অতিরিক্ত। আবার কোনো কোনো পণ্যের দাম সরকার যে পরিমান বৃদ্ধি করে, তার চেয়ে দ্বিগুন বা তিনগুন বাড়িয়ে বিক্রি করা হয় ক্রেতাদের কাছে। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে চলছে এ অরাজকতা।

বাজারে সবজি প্রচুর। কিন্তু দাম চলে গেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে বেড়েছে আলু,মরিচ,চিনি,মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। দোকানির মুখে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেশি এমন বাক্য শুনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে ক্রয় করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য।

সেইসাথে সরবরাহ কম তাই দাম বেশি, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বাজার সংকট, ক্রেতা কম ব্যবসা পুষিয়ে নিতে বেশি টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা, এমন বিক্রেতাদের অজুহাতে বিভিন্ন দোকানে ৫ থেকে ৮ টাকা কোথাও ১৫/২০ টাকা বেশি মূল্যে যাচাই না করেই পণ্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার করতে আসা বাদল মিয়া নামে একজন জানান, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কথা কি ভাবা হবে আর! ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে চাল ডাল মাছ মাংস শাকসবজি সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। বতর্মানে আলু ৪০ টাকা কেজি,মরিচ ১৫০ টাকা কেজি,চিনি ১৩৫ টাকা কেজি। সাধারণ মানুষ তো আটা খাওয়া বোধহয় ভুলেই গেছে। আটার কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি কালীবাড়ী হাটে ১৯০ টাকা কেজি,মাছ ভালোটা ৫শ টাকা কেজি,তেলে পোয়া মাছ,সিলভার কাপ মাছ ২শ টাকা কেজি,চালান পাবদা ৪শ টাকা কেজি। কি খাবেন? যা খাবেন সবেরই দাম বৃদ্ধি।

সবজি বিক্রেতা মজিদ মিয়া জানান,বিক্রি করতে আসলে দাম নেই। আবার সেই জিনিস খুঁচরা বাজারে ওদের কাছে কিনতে গেলে তিনগুন দামে কিনতে হয়।

মাংস বিক্রেতা বাবু জানান, বতর্মানে গরু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।একারণে মাংসের দামও ৭'শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের করার কিছুই নেই। কারণ গূহস্থ‍্যরা বলেন, খড়,ফিড,গুড়া-ভূষির দাম বেশি, একারণে গরু পালনে আর লাভ হচ্ছে না।
খুচরা ব‍্যবসায়ীরা জানান,পাইকেরী বাজারে সবজি কিনে প্রথমে হাটের টোল দিতে হয়। টোলও তো আগের চেয়ে দ্বিগুন বৃদ্ধি করেছে। এরপর এখান থেকে ভ‍্যান যোগে বাজারে নিতে একটু খরচ বেশিই পড়ে যায়। আর একারণে সবজির দাম একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

ক্রেতারা বলছেন, টোল এবং ভ‍্যান ভাড়া কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা হয় না। এটি খুঁচরা ব‍্যবসায়ীদের বেশি দামে বিক্রির এক প্রকার বাহানা।

এব‍্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান,যারা অযথা বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে।

Jamie Belcher

info@jagobahe24.com

News portal manager

Follow Me:

Comments