সারাদেশ
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অধ্যাদেশ জারীর সসয় শেষ হলেও সরানো হয় নি অবৈধ স্থাপনা!
ছাদেকুল ইনলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অধ্যদেশ জারির ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে ও নিজ উদ্যোগে সরানো হয় নি প্রায় ১৪ টির মত অবৈধ স্থাপনা।ফলে পলাশবাড়ী পৌরসভা কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে যানাযায় পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমাথা মোড় হতে চান প্রফেসারের বাড়ীর পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিটার সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে রেখেছে কতিপয় স্বার্থন্বেসি মহল।
দীর্ঘ এক যুগের ও বেশি সময় ধরে উল্লেখিত জায়গা দখল করে বানিজ্যিক দোকান ও মার্কেট গড়ে তুলে ভাড়া উত্তোলন করায় যানজট, পানি নিস্কাশনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে পৌর এলাকার হাজার হাজার মানুষের।অবৈধ দখলের কারনে রাস্তা এতটাই সংকিন্ন হয়েছে যে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
যানজট নিরসন,পানি নিস্কাশন পাবলিক টয়লেট নির্মান, ও পার্কিং করনের লক্ষে প্রায়,৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কল্পে পৌর সভার পক্ষ থেকে ৭ দিনের একটি নোটিশ প্রদান করা হয়।
অবৈধ দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলে ও তারা অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরায়নি।
গত ৭ মে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরানোর লক্ষে ১৫ মে ২০২৩ পর্যন্ত সময় নির্ধারন করে দেয়। সেই সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরানো হয়েছে কিনা তার প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের হুশিয়ার উচ্চারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোটিশ প্রাপ্ত অবৈধ দখলদারা বলেন পুরাতন টিন আর ইট দিয়ে কি করবো। প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করুক।
Comments